ঢাকা: ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠে লোক জড়ো করতে ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করল সরকার। রাষ্ট্র নাকি তামাশা?
মানিক মিয়া এভেনিউতে জুলাই ঘোষণা পত্র অনুষ্ঠানে লোক আনার জন্য সরকার ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করছে। ভাড়ার টাকা দেবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।
জুলাইকে মনেপ্রাণে ধারণ করলে জনগণের তো নিজেই আসার কথা। টোকাই ভাড়া করে আনতে হবে কেন?
অনুষ্ঠানে সেলিব্রেটি যারা পারফর্ম করবে তাদেরও ফ্রিতেই করা উচিৎ যদি দেশকে ভালোবাসে।
এদিকে, মাইলস্টোন স্কুল এণ্ড কলেজের পুড়ে যাওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য প্রধান উপদেষ্টার পেজ থেকে জনগণের কাছে তাদের চিকিৎসার জন্য ভিক্ষার বিজ্ঞাপন দিতে হয়েছিলো।
পরে প্রবল সমালোচনার মুখে সেটি ডিলিট করা হয়।
চিকিৎসার জন্য অর্থ ভিক্ষা করতে হয়, দেশজুড়ে হাদিয়া, চাঁদাবাজি চলে আর এইদিকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ!
এনসিপি যা চায়, তাই সরকারকে মেনে নিতে হয়, তাদের সব দাবী মানতে বাধ্য থাকিতে হইবে সরকারকে,
সেটা হোক প্রাপ্য কিংবা অপ্রাপ্য, সেটা হোক সিস্টেম বা আইনের বাহিরে, ইউনূস সাহেব তা দিতে বাধ্য, কারণ ওনাকে তো ঐ টোকাইরাই এই জায়গায় বসিয়েছে, তা না হলে- লং মার্চ আন্দোলন, মিছিল, অবরোধ, আরো কতো কিছু হয়ে যাবে..!
দখলদার জঙ্গী ইউনুস সরকার পাঁচ আগষ্ট তাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্য সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ”ভাড়াটিয়া’ লোক জড়ো করছে। প্রচুর টাকা ছড়ানো হচ্ছে।
পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ করে তাদেরকে নেয়া হবে সমাবেশে। (বেসরকারি সাহায্য সংস্থা এনজিও) এমনকি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকেও মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে অনানুষ্ঠানিকভাবে।
এইদিন যে দুর্ভোগ বাড়বে সাধারণ যাত্রীদের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু তাতে কোনো পাত্তাই দিচ্ছেনা জঙ্গী- প্রতারক সরকার।
জনগণ দিয়ে তো জঙ্গীদের কাজ নেই। এ ওকে তেল দেয়, ও তাকে তেল দিতে ব্যস্ত।
ভাড়াটিয়াদের ঢাকায় আনার জন্য ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন, ৫ আগস্ট দুপুরের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানো হবে এবং কর্মসূচি শেষে তাদেরকে ফের গন্তব্যে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
পুরো ব্যবস্থার জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, আর এটি বহন করবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের আবেদনের পর রোববার (৩ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চিঠি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রেলওয়ে ট্রেনগুলোর রুট, সময় ও আসন সংখ্যা নির্ধারণ করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি সূচি তৈরি করেছে, যাতে ট্রেনগুলো দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে এবং কর্মসূচি শেষে রাত ৮-৯টার মধ্যে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে।
বিশেষ ট্রেনের সময়
চট্টগ্রাম থেকে: ১৬ কোচের একটি বিশেষ ট্রেন আসবে, যা ৮৯২ আসন ধারণ করবে। ভাড়া ৭ লাখ টাকার কিছু বেশি।
গাজীপুর (জয়দেবপুর) থেকে: ৮ কোচের বিশেষ ট্রেন, এতে আসন ৭৩৬টি এবং ভাড়া প্রায় ৭২ হাজার ৫০০ টাকা।
নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা পথে: ১০ কোচের একটি বিশেষ ট্রেন আসবে, আসন সংখ্যা ৫১০, ভাড়া সাড়ে ৫৬ হাজার টাকা।
নরসিংদী থেকে: ১২ কোচের ট্রেন, আসন ৬৫২, ভাড়া প্রায় ৯৫ হাজার টাকা।
সিলেট থেকে: ১১ কোচের বিশেষ ট্রেন, ৫৪৮ আসন, ভাড়া ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
রাজশাহী থেকে: ৭ কোচের ট্রেন, আসন ৫৪৮, ভাড়া ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
রংপুর থেকে: ১৪ কোচের বিশেষ ট্রেন, আসন ৬৩৮, ভাড়া সাড়ে ১০ লাখ টাকা।
ফরিদপুরের ভাঙা থেকে: ৭ কোচের ট্রেন, আসন ৬৭৬, ভাড়া ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
ফিরতি যাত্রা
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় রংপুর থেকে ট্রেনটি যাত্রা করবে এবং ৫ আগস্ট ভোরে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী থেকে ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করবে।
ঢাকা শহরের আশপাশের জেলা গাজীপুর, নরসিংদী ও ফরিদপুর থেকে ট্রেনগুলো দুপুরের আগে চলে আসবে।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে রংপুর থেকে আসা ১৪ কোচের ট্রেনের জন্য সাড়ে ১০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম থেকে ১৬ কোচের ট্রেনের জন্য ভাড়া ধরা হয়েছে ৭ লাখের কিছু বেশি। এ ছাড়া রাজশাহী, সিলেট, ফরিদপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকেও ভিন্ন ভিন্ন আসন সংখ্যা ও ভাড়ায় ট্রেন চলবে।