ঢাকা: চাঁদাবাজি, জঙ্গী উত্থান, খুন, মব, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ ধ্বংস, ধর্ষণ ছাড়া এই এক বছরে বাংলাদেশ আর কিছু পেয়েছে যেটা দিয়ে বলতে পারে নাহ, আমরা তো পেয়েছি কিছু!
ভালোর তালিকা দেশে আর নেই। এখন শাসনে বসে আছে জঙ্গী বাহিনী। যেভাবে বলবে সেভাবে চলতে হবে। না চললে যাও পরপারে! ব্যস! খেল খতম!
মোহাম্মদ ইউনুসের অবৈধ ক্ষমতা দখলের এই এক বছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
উন্নয়নের গতি থামিয়ে, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে শুধুই ক্ষমতার মোহে মত্ত এই অপশক্তি। এই স্বৈরাচারী ধ্বংসযজ্ঞের অবসান চাইছে জনগণ।
অবৈধ ক্ষমতা দখলের এই এক বছরে দেশ ডুবে গেছে দুর্নীতির সাগরে, থমকে গেছে সকল উন্নয়ন প্রকল্প।
জনগণের টাকায় বিলাসিতা, আর স্বৈরতান্ত্রিক জুলুম—এই কি চেয়েছিল বাংলাদেশ?
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের সহিংসতা, চাঁদাবাজি ও প্রশাসনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অপরদিকে, প্রশাসনের নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।
বাংলাদেশ অসুস্থ, বাংলাদেশ একদম ভালো নেই।
এর মধ্যেই জঙ্গী উত্থান দিবসে নির্বিকার মুখে জঙ্গীদের মৃত্যুতে কেঁদেকেটে ভাষণ দেয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন মহাজন।
আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচার হবে।
এর আগে আজ বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন।
জানা যাচ্ছে, একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন ইউনূস।