ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
শনিবার গভীররাতে নিজের বাসভবনের সামনে তিনি বলেছেন, ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটিই বহাল থাকবে এবং প্রত্যেক হল প্রশাসন এ নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তবে ক্যাম্পাস থেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারবেন। কিন্তু ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ করতে পারবেন না। ঠিক এই খেলাটাই খেলছে ক্যাম্পাসের শিবির৷
রগ কাটা শিবিরের ফর্মূলা ভিন্ন। তারা সকল রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবীতে সবাইকে উস্কে দিচ্ছে।
এতে রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ হলে একমাত্র শিবিরই ক্যাম্পাসের একক দখল নেবে।
এবং তারা রাজনীতি করবে “আমরা তো দ্বীনের দাওয়াত দিই, ইসলামী আলোচনা করি” এই মুখোশ লাগিয়ে।
শিবিরের কাজটাই তো তাই।
এইসবকিছু শিবিরের তৈরি করা ষড়যন্ত্র। তাঁরা প্রকাশ্যে রাজনীতি আর করবে না গুপ্ত রাজনীতি করবে, সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে সব দখলে রাখবে।
একটি বিষয় নিশ্চয় মনে আছে, অতীতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে যারাই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে পরবর্তীতে তারাই ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে প্রকাশ্যে এসেছে গুপ্ত অবস্থা থেকে।
ধর্মের নামে তাবেদারি করবে। রগ কাটবে। হলে হলে তাবলিগ জামাত যাবে, নামাজের জন্য দাওয়াত দিতে যাবে আরেকদল, তারপরে মিষ্টি কথা বলবে, খাওয়াবে, বিপদে টাকা লাগলে টাকা দেবে, চাকুরি লাগলে চাকুরি, তারপরে শিবিরে যোগ দেয়াবে আস্তে করে।
শিক্ষার্থীরা দেখা যায় ‘এ মুহূর্তে খবর এলো, হল রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো’ স্লোগান দিতে থাকেন।
উল্লেখযোগ্য যে, সেদিন সকালে ঢাবির ১৮টি হলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই ওই কমিটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
এর প্রতিবাদে ও হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
রাত ১২টার দিকে মুহসীন হল থেকে মিছিল নিয়ে মাস্টারদা সূর্যসেন হল হয়ে হল পাড়া ও ভিসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে রোকেয়া হলের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
এসময় তারা ‘জুলাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর’, ‘গেস্টরুমের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘গণরুমের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হলে হলে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।