ঢাকা: গুপ্ত সংগঠন ভালো নাটক শুরু করেছে। শিবিরের সুযোগ এবার পুরো।
একদিকে ডাকসু নির্বাচনে চাই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। অন্যদিকে ছাত্রদল কমিটি ঘোষণার পরে রাজনীতি চাই না। এই হলো গুপ্ত শিবিরের দ্বিচারিতা।
কথায় বলে না, বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার! সেই অবস্থা হয়েছে।
রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে যা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তা স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।
মুক্তিযুদ্ধ ও রাজাকার ইস্যুতে যখন ক্যাম্পাস গরম হয়ে উঠেছে, তারা যখন বুঝলো সাধারণ ছাত্ররা ৭১ মঞ্চে একত্রিত হচ্ছে তাই মেটিকুলাসলি ভিসিকে দিয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেছে।
হাস্যকর এবং ভীষণ নাটকীয়!
সাধারণ শিক্ষার্থীর মুখোশে গুপ্ত সংগঠনের নতুন কৌশল এগুলো!
শিবির তাদের কাজ ঠিক চালিয়ে যাবে। এরা ক্যাডারভিত্তিক সংগঠন।
বাস্তবে রাজনীতি রাজনীতি করে না এমন কোনো শিক্ষার্থী নেই। প্রত্যেকেই কোনো না কোনো মতাদর্শে বিশ্বাসী।
যারা এই চরম সত্যকে আড়াল করতে চায় তাঁরাই মূলত গুপ্ত সংগঠনের রাজনীতির সাথে জড়িত।
প্রতিবাদ, বিক্ষোভে সমবেত প্রত্যেকের রাজনৈতিক মুখোশ উন্মোচন করলেন দেখা যাবে আসল সত্য।
সাধারণ জনগণ বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ছাত্রশিবির, ছাত্রদল এবং বাম সংগঠনগুলোর কমিটি বর্তমান আছে।
যারা এই সংগঠনগুলোর কমিটিতে বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত আছে তাদের সকলের আগামীর ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিল ঘোষণা করা হোক।
তাঁরা কেউই আগামীর ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে রুল জারি করা হোক।
তারপর বুঝা যাবে তাঁরা কারা যারা ছাত্র রাজনীতি চায় না। মুখোশ এমনিতেই বেরিয়ে আসবে। কিন্তু এগুলো করা হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল থেকে বিভিন্ন হলে বিক্ষোভ শুরু হয়।
মধ্যরাতে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের একদল ছাত্রী হলের ফটকের তালা ভেঙে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভে টিএসসিতে বিক্ষোভ করে।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করেন তারা। নানা স্লোগান দিতে থাকে।
পরে, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।
কিন্তু এইগুলো কথার কথা। প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ করার জন্যেই এই ষড়যন্ত্র। শিবির চালাবে গুপ্ত রাজনীতি।