ঢাকা: নারীরা যে গলা চিড়ে ফেলেছিলেন জুলাই ষড়যন্ত্রে, তার ফল পাচ্ছেন এখন হাড়ে হাড়ে।

নারীবিরোধী সবাই। এখানে, এই সরকারে নারীদের জায়গা নেই।

দলীয় আনুকূল্যনির্ভর সংরক্ষিত আসনব্যবস্থায় নারী সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকা নেই। ফলে ভোটারদের সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের কোনো সংযোগ ঘটে না।

এ রকম পরিস্থিতিতে সংরক্ষিত আসনগুলোর সদস্যদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন নারী অধিকারকর্মীরা।

রাজনৈতিক দলগুলো তো সব নারীবিরোধী, পুরুষতান্ত্রিক, তারা নারীদের জায়গা কীভাবে সুনিশ্চিত করবে?

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেছেন, সব জায়গায় নারীদের বাদ দেওয়ার এবং একটু পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এ কোন রূপ? জবাব দেবেন ইউনূস?

তিনি বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্যগুলো এই সরকার বিবেচনায় নেবে বলে আকাঙ্খা ছিল। কিন্তু সেটা মোটেও হয়নি। যখনই সমান অধিকারের কথা বলি তখনই একটা হুংকার আসে।

অনেক দিন ধরে সরাসরি নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। এখন যে ৫ শতাংশ দেওয়ার কথা বলছে তা হাস্যকর। শুধু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে নারীদের সম্পর্কে কেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘জাতীয় সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহীন আনাম বলেন, ‘আমরা যদি সংস্কার কমিশনগুলো দেখি, সেখানে নারী প্রতিনিধির অবস্থা আমরা সবাই জানি। আর আমাদের ঐকমত্য কমিশনের কথা তো বাদ দিলাম, আর কী বলব সেটা বলার কিছু নেই। এটা একটা বয়েজ ক্লাব।’

শাহীন আনাম বলেন, ‘নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে যেভাবে কথা বলা হলো, যেভাবে তাঁদের অপমান করা হলো প্রকাশ্যে এই সরকার একটা টুঁ শব্দ করে নাই। এটা আমাদের খুবই আঘাত করেছে। আসলে আমাদের সমাজে নারীর স্থান কোথায়।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারীর সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০০ করা এবং এর মধ্যে ১৫০টি নারীর জন্য সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন নারী অধিকারকর্মীরা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *