ঢাকা: প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার ষড়যন্ত্র। স্নাইপারগুলো নিরাপদ রাখার কৌশল!

নির্বাচনের আগে জাতির মন পেতে চায় সেনাবাহিনী। কারণ সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডে জাতি অতিষ্ঠ। যে গণহত্যা চালিয়েছে গোপালগঞ্জে তারপর থেকে জাতির কাছে সম্মান হারিয়েছে সেনাবাহিনী।

এর আগে শাহজালাল বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যাগে একে – ৪৭ এর ম্যাগজিন পাওয়া গেছে।

মরোক্কোর মারাকেশে “ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে” যোগ দিতে টার্কিশ এয়ারলাইনসের টিকে -৭১৩ ফ্লাইটে তুরস্ক হয়ে মরক্কো যাচ্ছিলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ।

পথিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার ব্যাগ তালাশি করলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ব্যাগে গুলির ম্যাগজিন পাওয়া যায়।

কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

জুলাই আন্দোলন ও সরকার পতন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছিলো, “জুলাইয়ে শেখ হাসিনার পতন না হলে তাদের সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি ছিল”! প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রশিক্ষণ তারা কোথায় পেয়েছিল? এই অস্ত্র তারা কোথায় পেয়েছিলো?

উপদেষ্টা আসিফের সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের মাত্র কয়েক মাসে শত কোটি টাকার দুর্নীতি এখন বাংলাদেশের কারোই অজানা নয়। এতো এতো অপরাধের পরও এই মহাশক্তিধর উপদেষ্টা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বহাল থাকে কীভাবে?

২০১৪ সালে “নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন” এর নামে একদল ছাত্রের ব্যাগে চাপাতি পাওয়ার তথ্য আপনারা নিশ্চয়ই এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাননি। তখন আসিফের বয়স ১৬ বছর। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ধীরে ধীরে ডালপালা মেলতে শুরু করে “কিশোর গ্যাং”।

সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করতে চাওয়া, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন মুহূর্তে গান পাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া এসব দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পিত পরিকল্পনা ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয়।

এই পরিকল্পিত জঙ্গী ষড়যন্ত্রের সফল উত্থান হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট।

আর এত কিছুর পর এখন রান্নাঘরের আসবাবপত্র উদ্ধার করে দালাল সেনাবাহিনী মানুষের চোখের ধুলো দিতে চাচ্ছে! আসল অস্ত্র তো জামাত শিবির ও এনসিপির ঘরে ঘরে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার কয়েকটি দোকান ও গুদাম শনিবার অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এসব অস্ত্র বিক্রি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ আর্মি ক্যাম্পে গতকাল রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের ডেয়ারিং টাইগার্সের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজিম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি এই আইটেমগুলো (ধারালো অস্ত্র) কোনো একটা জায়গা থেকে সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে এবং গোপনে বিক্রি করা হচ্ছে, এমনকি ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে।

কিছু কিছু সময় ফ্রি ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে, হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ঢাকার কোনো একটি জায়গা থেকে এই আইটেমগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে দেওয়া হয়।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *