ঢাকা: গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জামাত-এনসিপির জঙ্গীদের নিশানায় পড়ে খুন হয়েছেন তুহিন- কারণ তাঁর ফেসবুকে এই জঙ্গীদের তথ্য ফাঁস হয়েছিলো। সেসব তথ্য লিখে তিনি ফেসবুকে দিয়েছিলেন।
তবে জামাত এনসিপির বিষয়টা থেকে চোখ ঘুরানোর জন্য মনে করা হচ্ছে খুনের গল্পটা অন্যভাবে সাজানো হয়েছে।
নারীর হানি ট্রাপের ঘটনা একটা সাজানো হয়েছে। এবং ঘটনা/ খুনটা পূর্ব পরিকল্পিত! তাঁর চোখের সামনে পুরো বিষয়টা ঘটানো হয়েছে এবং একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
সাংবাদিক তুহিন মনে করা হচ্ছে আগে থেকেই টার্গেটে ছিলেন। এবং সেইভাবেই নারীঘটিত একটি ঘটনা সাজিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ঘটনাটি ঘটে বাদশা নামের এক ভদ্রলোককে কেন্দ্র করে। তিনি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে ফিরছিলেন।
পথে গোলাপি নামের এক নারী পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হানি ট্রাপে ফেলতে চেষ্টা করে। এই গোলাপি কল গার্ল ছিলো।
বিষয়টি বুঝতে পেরে বাদশা প্রতারণা থেকে বাঁচতে গোলাপিকে ঘুষি মারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাপির সঙ্গে থাকা সহযোগী সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদশার ওপর হামলা চালায় এবং তাকে গুরুতর জখম করে।
ঠিক তখনই পাশের দোকানে থাকা সাংবাদিক তুহিন মোবাইলে পুরো ঘটনাটি ভিডিও করতে থাকেন।
সন্ত্রাসীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাঁর কাছে গিয়ে ভিডিও মুছে ফেলতে বলে। কিন্তু সাংবাদিক তুহিন ভিডিও মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তুহিনের ওপর হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় হানি ট্রাপের মূল নায়িকা গোলাপি, তার স্বামী এবং সহযোগী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোলাপীর বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়। তার বাবার নাম সোলায়মান। তিনি ও ফয়সাল গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় থাকেন।