ঢাকা: চিনের দিকে ঝুঁকলেও বাংলাদেশের এক কতটুকু লাভ সেটা সময় বলছে! সহযোগী ভারত ছেড়ে চিনের দিকে ঘেঁষা না ভারত ভালো চোখে দেখবে আর না আমেরিকা। পররাষ্ট্রনীতি না জানা মহাজন ইউনূস তো দেশটাকে খাদে নিয়ে গেছেন।
এবার চীন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশীদের চিকিৎসা সুবিধা দিতে চায় চিন।
ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে তিন দিনের সফরে থাকা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীনের স্বাস্থ্যখাতের কর্মকর্তারা এই কথা বলেন।
শুক্রবার সফরের শেষ দিন প্রতিনিধি দল কুনমিং টংরেন হাসপাতাল ও কুনমিং আই হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি, সেবা কার্যক্রমগুলো সরাসরি দেখেন।
হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেন লিং জানান, এখানে শতাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ৩৭টি বিশেষায়িত বিভাগ রয়েছে।
যার মধ্যে কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, শ্বাসযন্ত্র চিকিৎসা, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, অনকোলজি, নিউরোসার্জারি, অর্থোপেডিকস, ইউরোলজি ও গাইনোকোলজি উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশী প্রতিনিধি দল কুনমিং আই হাসপাতালও পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা লেজার সার্জারি, উন্নত চক্ষু রোগ নির্ণয় প্রযুক্তি ও সমন্বিত চক্ষু সেবার চিত্র দেখেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সফররতদের জানান, বাংলাদেশী রোগীদের জন্য চিকিৎসা প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ চলছে।
তার মধ্যে রয়েছে, যোগাযোগ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ এবং আন্তর্জাতিক রোগী সহায়ক সেবাগুলো উন্নত করা।
চীনা সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের নেতৃত্বে দেশটি সফর যায় সাংবাদিক প্রতিনিধিদল।
এই সফর চীনের স্বাস্থ্য অবকাঠামো সরাসরি দেখার সুযোগের পাশাপাশি দু’দেশের চিকিৎসা সহযোগিতা জোরদারের পথও উন্মুক্ত করেছে।