ঢাকা: বাংলাদেশে বর্তমানে যা হচ্ছে তার একটাও জনগণের স্বার্থে নয় কিংবা জনগণের ভালোর জন্যে নয়।
পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে সরকার একত্রিত করে পরিচালনা কার্যক্রম ঢেলে সাজাতে চাচ্ছে। যার কারণে জনগণের মনে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
যিনি প্রধান হয়ে বসে আছেন তিনিই তো ইসলাম বিরোধী। সুদী মহাজন। তিনি আবার ইসলামী মতে জনগণের কী ভালো করবেন?
অনেকেই হতাশ হচ্ছেন যখন দেখছেন এই সমাজে এখনো দিনের বেলায় প্রকাশ্যে মানুষ খুন হয়। এই ব্যাংক গুলোও এই সমাজেরই অংশ।
ব্যাংকিং ইতিহাস থেকে বলা যায় এরা এখন দেউলিয়া – তবে ঘোষণার অভাব মাত্র!
দেশে চলিতেছে সার্কাস ! সব কিছু লুটেপুটে খাওয়া শেষ ! ব্যাংক ডাকাত,দুর্নীতিবাজ চক্র, সব মিলেমিশে একাকার!
ইসলামী ব্যাংকে শুধু জামাত শিবির চাকরি পাবে কিন্তু টাকা রাখবে সবাই ! এই নীতি তাদের।
আর্থিক সংকটে পড়া শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংক মিলে একটি বড় ইসলামি ধারার ব্যাংক গঠন করা হচ্ছে। নতুন এই ব্যাংকের যাত্রার শুরুতে মূলধন জোগান দেবে সরকার।
সরকার বসে আছে জামাতকে কোলে নিয়ে।
একীভূতকরণের আওতায় থাকা ব্যাংকগুলো হলো, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক।
এসব ব্যাংক একীভূত হলে গ্রাহকদের কোনো সমস্যা হবে না বলা হচ্ছে ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক একীভূত হলেও গ্রাহকদের লেনদেনে কোনো সমস্যা হবে না। তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন ব্যাংকটির গ্রাহক হবেন।
এছাড়া শীর্ষ পর্যায় ছাড়া অন্য ব্যাংকাররা একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে তিন বছরও লাগতে পারে।
তবে এই কাজটি যে মোটেই ভালো হবে না তাই বলেন বিশ্লেষকরা।
দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করলেই একটি শক্তিশালী ব্যাংক হবে—এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং এর ফলে পদ্ধতিগত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর আরও বড় ও দুর্বল একটি প্রতিষ্ঠানে সহায়তা দেওয়ার চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের একীভূতকরণে নৈতিক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
নতুন ব্যাংকটি সম্পূর্ণ নতুন আইনি সত্তা হবে এবং এতে করে আগের অনিয়মের ইতিহাস মুছে যেতে পারে।
এর ফলে এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন হতে পারে যে, প্রতারণা করেও কোনো ধরনের শাস্তি ছাড়াই বড় ব্যবস্থার অংশে পরিণত হওয়া যায়।
এখনই প্রচুর অভিযোগ আছে।
এমনকি নতুন ব্যাংকে সুশাসন ও জবাবদিহিতাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।
তাঁরা বলছেন, একীভূতকরণের চেয়ে কার্যকর সমাধান হবে প্রতিটি ব্যাংককে কৌশলগতভাবে ও পর্যায়ক্রমে পুনর্গঠন করা।
বড় আকারে ব্যাংক একীভূত করলে স্বল্পমেয়াদে রাজনৈতিক সুবিধা বা মুখরক্ষা হতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে বাজারে অস্থিরতা, আস্থার সংকট তৈরি হবে।