ঢাকা: ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গত তিন বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ত্রিপুরায় প্রবেশের দায়ে ২ হাজার ৮১৫ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সীমান্তের এপারে কঠোর নজরদারির কথা বারবার বলা হয়, কিন্তু অবৈধভাবে বাংলাদেশীর যাওয়া কমানো যায় না। ত্রিপুরার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার একাধিক বাংলাদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের পর ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের।
এবার ত্রিপুরায় অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রঞ্জিত দেববর্মা। তিনি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার উভয়কেই মিথ্যা পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বসবাসকারীদের চিহ্নিত করে তাৎক্ষণিকভাবে দেশ থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেববর্মা মুখ্যমন্ত্রী, ত্রিপুরার রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, অবৈধ অভিবাসীদের এই অনিয়ন্ত্রিত আগমন ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।
“বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীরা আগরতলা এবং বিভিন্ন জেলা সদর দপ্তর সহ ত্রিপুরা জুড়ে ভাড়া বাড়ি, বস্তি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছে,” দেববর্মা অভিযোগ করেন। তিনি আরও দাবি করেন যে অনেকেই রাজনৈতিক মদদ এবং স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে আধার, ভোটার আইডি, প্যান কার্ড এবং রেশন কার্ডের মতো ভারতীয় পরিচয়পত্র অর্জন করেছেন।দ্রুত এইসব বন্ধ করতে হবে।