ঢাকা: ভারত বাংলাদেশের কূটনৈতিক পরিস্থিতি দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকে দুই দেশের মিষ্ট সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হয়েছে।

সম্পর্ক ভালো রাখতে দেয়নি জঙ্গী ইউনূস গং। তবুও ভারত সহানুভূতি দেখিয়েছে বাংলাদেশকে বিপদে।

তবে বাণিজ্য ক্ষেত্রে মারাত্মক চাপে পড়েছে বাংলাদেশ! ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করার ফল ভোগ করছে।

এর মধ্যে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে মাছ আমদানি বন্ধ হয়ে গেলো। কাস্টমসের নতুন নিয়মে খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে রোববার ১০আগস্ট থেকে মাছ আমদানি বন্ধ করতে হয়েছে।

ইউনূসের এত গা জোয়ারির ফল কী হলো?

রাজনৈতিক টানাপোড়েন, বাংলাদেশে ক্ষমতা বদল, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশে পাকিস্তান প্রীতি সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে ভারত থেকে মাছ আমদানি কমেছে ১৮ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টন।

আমদানি কম বলতে ভারত বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশকে।

বাণিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, ভারত থেকে যেসব খাদ্য দ্রব্য আমদানি হয় তার মধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে বরফায়িত মিঠা পানির মাছ ও সামুদ্রিক মাছ।

বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউস নির্ধারিত শুল্ক ৫০ সেন্টের পরিবর্তে ৭৫ সেন্ট আদায় করছে। এত দেয়ার সামর্থ্য নেই!

বেনাপোল বন্দরের শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি অর্ধেকের নিচে কমে এসেছে। এরপর আবার মাছ আমদানি বন্ধ থাকায় অনেক শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত মাছে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আসে সরকারের। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমসের সাথে কথা বলা হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। সবমিলিয়ে আমদানি খরচ বাড়ায় বাধ্য হয়ে মাছ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকেরা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *