ঢাকা: যেই সেনাবাহিনীর আস্কারা পেয়ে এই জঙ্গীরা এই জায়গায় এসেছে, গোপালগঞ্জে প্রাণ নিয়ে ফিরেছে সেই সেনাবাহিনীকে হুমকি দিচ্ছে এনসিপি নামক জঙ্গীরা। আর সেনাবাহিনী আঙুল চুষছে বসে।

শিশু দল তথা এনসিপির নেতা নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেছে ডিজিএফআইয়ের হেড কোয়ার্টার উড়িয়ে দেবে!

প্রকাশ্যে জনসম্মুখে এই রকম হুমকি দিলে মানসম্মান আর কিছু কি থাকে?এইধরনের হুমকি কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়? এই জঙ্গিদের এতবড় ধৃষ্টতা হয় কি করে?

সেনাবাহিনী, ডিজিএফআই, ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলো কোথায়?আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায়? রাষ্ট্র কোথায়? তারা নেই।

কয়দিন আগে ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদী বলেছে, ক্যান্টমেন্টের প্রতিটা ইট খুলে নিয়ে আসবো।

এর আগে এবি পার্টির ফুয়াদ বলেছিলো, ক্যান্টনমেন্ট গুঁড়িয়ে দেব, উড়িয়ে দেব।

এরও আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উত্থাপন করেছিলো এবং বৈষম্যবিরোধীরা শ্লোগান দিয়েছিলো, “ওয়াকার না হাসনাত–হাসনাত হাসনাত।”

সেনাবাহিনী কাউকে কিছু বলেনি। উল্টো তাদের হুকুমে গোপালগঞ্জ গণহত্যা করেছে সেনারা।

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সিভিলিয়ানদের কাছে এমন জঘন্যভাবে হেনস্তা, অপমান, অপদস্ত হয়নি ইতিপূর্বে।

যে নেতৃত্ব, সেনাবাহিনীর ডিগনিটিকে এভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে-সেই সেনা-নেতৃত্বকেও এজন্য একদিন জবাব দিতে হবে নিশ্চিত।

এবার হাসনাত আব্দুল্লাহর কথা!

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি গুম, খুন, হত্যার সঙ্গে কীভাবে রাষ্ট্রীয় এজেন্সিগুলো জড়িত রয়েছে। ৫ আগস্টের আগে আমাদেরকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা দেখেছি, এজেন্সিগুলো মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।

এজেন্সিগুলো হচ্ছে ব্যুরোক্রেটদেরকে (আমলাদের) নিয়ন্ত্রণ করে। সে জন্য ডিজিএফআই নামে যে সংগঠনটি রয়েছে, সেটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’–এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে ডিজিএফআইয়ের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘আপনি দেখবেন ডিজিএফআইয়ের কাছে বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে কী ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেটি নিয়ে কোনো তথ্য নেই। তারা একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরেকটা রাজনৈতিক দলের, একটা রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আরেকটা রাজনৈতিক দলকে কীভাবে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়, সেটি নিয়ে তারা দিনরাত ব্যস্ত থাকে।’

ডিজিএফআইকে সংস্কারের দাবি জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটাকে ব্যান (নিষিদ্ধ) করে দিতে হবে। এই মিলিটারি অর্গানাইজেশনকে বাংলাদেশপন্থী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কোনো দলপন্থী করার প্রয়োজন নাই।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য এই মিলিটারি অর্গানাইজেশনকে আধুনিক ও যুগোপযোগী, আমাদের ২৪ দফায় আমরা যেভাবে বলেছি, বাংলাদেশপন্থী একটা মিলিটারি অর্গানাইজেশন আমরা গড়ে তুলব। সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *