ঢাকা: বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকা সবসময়ই নাক গলিয়ে আসছে, প্রতিনিয়তই ষড়যন্ত্র করছে। মাঝে মধ্যে খুচরা কিছু সাফল্যও পেয়েছে।
এবং নাক গলিয়েই সরানো হয়েছে শেখ হাসিনাকে।
আমেরিকার ষড়যন্ত্রের জন্যই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা! বাংলাদেশের অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দখলদারি নিয়ে হাসিনার সঙ্গে বেঁধেছিলো বিরোধ।
আর এখন তারাই বলছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো। বলবেই! যেহেতু স্বার্থ শেষ হয়ে যায়নি।
৫ আগস্টের পর দেখা যাচ্ছে চোখের সামনে একটা জলজ্যান্ত দেশ কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেলো! প্রতিদিন খুন, প্রতিদিন ছিনতাই, হিন্দু নির্যাতন, এমন দিন বাদ নেই যেদিন হত্যা হচ্ছে না।
ইউনূস সরকারের মদতে ৭ আগস্ট ২০২৫ এ সংঘটিত নৃশংস হামলায় ৪টি বড় মন্দির চুরমার করে দেওয়া হয়, ১০টিরও বেশি হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়িতে লুটপাট চালানো হয়।
দুষ্কৃতকারীরা শুধু সম্পদ লুটেই থামেনি — ৩৫ জনকে গুরুতর আহত করে রূপসা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে, গৃহপালিত পশু পর্যন্ত নিয়ে গেছে।
১৫০-২০০ হিন্দু পরিবার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ — কেউ রক্ষা পায়নি।
মন্দির ভাঙা, ঘর পোড়ানো, লুটপাট — এসব চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল নিষ্ক্রিয়, যেন সবকিছুই সরকারের ছত্রছায়ায় হচ্ছে।
রংপুরে সংখ্যালঘু নিপীড়ন থেকে শুরু করে খুলনার শিয়ালী— প্রতিটি ঘটনায় ইউনুসের প্রশাসন ব্যর্থ নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে দোষীদের রক্ষা করছে।
এটাই কি মানবাধিকারের বাংলাদেশ?
এর মাঝেই আমেরিকা বলল পরিস্থিতি ভালোই। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর নানা ঘটনার মাঝেও স্থিতিশীল রয়েয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি।
‘২০২৪ কান্ট্রি রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস প্রাকটিস: বাংলাদেশ’ শিরোনামে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার-বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে দেয়া সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং পুলিশ আর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালান।
এরপর ৮ আগস্ট রাষ্ট্রপতি শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্রধান উপদেষ্টা’ করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন।
প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগ সরকারের অপমান করা হয়। তবে মহাজন ইউনূস তো আমেরিকার পায়ের নিচে বসে আছেন।তাই তাঁর আমলে যা কিছু অবিচার হচ্ছে সব মাফ!
বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন সাইবার আইনে দায়ের হওয়া এক হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহার ও আটক ব্যক্তিদের মুক্তির ঘোষণা দেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের জুতার মালা পরিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার কোনো উল্লেখ নেই!