ময়মনসিংহ: “আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাংলার সূর্যসন্তান অধ্যাপক যতীন সরকার আর নেই!

নাসিরাবাদ কলেজ ময়মনসিংহ এর বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জাতীয় বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক যতীন সরকারের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে।

বেশ কয়েক মাস ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলি আর্থ্রাইটিসে ভুগছিলেন।

যতীন সরকার স্যার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে ‘পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন’ গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার, ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।

তিনি চলে গেছেন, কিন্তু রেখে গেছেন জ্ঞানের রত্ন ভান্ডার।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য ভক্ত-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী নেত্রকোনা জেলা সংসদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে যতীন সরকারের মরদেহ প্রথমে সরাসরি তাঁর বাসস্থান শহরের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বানপ্রস্থে যাবে। সেখানে পরিবার ও স্বজনদের শ্রদ্ধার নিবেদনের জন্য রাখা হবে।

এই বাড়িতেই তিনি আড়াই দশকের বেশি সময় বসবাস করেছেন। এরপর সেখান থেকে রাত ৮টায় যতীন সরকারকে নিয়ে যাওয়া হবে নেত্রকোনা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সেখানে নেত্রকোনাবাসীর পক্ষ থেকে তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো হবে।

রাত ১১টায় বারহাট্টা রোডে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *