ঢাকা: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মুখ ফসকে আমেরিকার সাথে গোপনীয় চুক্তিতে থাকা কৃষি উপনিবেশবাদের হাতিয়ার জিএমও ফুডের বিষয়ে বলে ফেলেছেন!

এখন এই অবস্থায় তাঁর উপদেষ্টাগিরি কয়দিন থাকে দেখা যাক!

এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে! জঙ্গী- প্রতারক- মার্কিন আজ্ঞাবহ কথিত ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের অন্যতম উপদেষ্টা হঠাৎ মুখ ফসকে কি বলে ফেললেন!

উবিনীগ নামে একটি এনজিও’ র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তা তিনি। ইন্টেরিম সরকার যেখানে চলছে বাংলাদেশে মার্কিন কুটনীতিকদের আদেশে- নির্দেশে সেখানে সরকারের একজন উপদেষ্টা হয়ে ফরিদা ম্যাডাম এ কি বললেন! তো এই কথা বলাতে ওনার চাকরি থাকবেতো সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে?

শেখ হাসিনা হচ্ছেন একমাত্র বাংলাদেশ শাসক বর্তমান সময়ে।

শেখ হাসিনা সরকারকে আমেরিকা উৎখাত করেছে বিনা স্বার্থে? মূলত এটি ষড়যন্ত্র। এভাবে গণঅভ্যুত্থান হয় না।পুরোপুরি আমেরিকার তৈরী মেটিকুলাস ডিজাইন।

এখন কৃষি নয় গোটা বাংলাদেশ আমেরিকার নিয়ন্ত্রিত। আগামীতে পররাষ্ট্র কূটনীতিক এবং স্বার্বভৌমত্ব, সামরিক ঘাটি সব আমেরিকার দখলে থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আশঙ্কা করছেন— বাংলাদেশের কৃষি খাতকে দখলে নিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেছেন, কৃষিটাকে ওরা (যুক্তরাষ্ট্র) দখলে নিয়ে নেবে এবং কোম্পানিগুলো চলে আসবে।’

বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ইনস্টিটিউটে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট আয়োজিত “বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘একটি ওয়ার্নিং দিয়ে রাখি—এরইমধ্যে আমেরিকানদের সঙ্গে যত কথাবার্তা হয়েছে, তারমধ্যে তারা কৃষিতে জিএমও (জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড অর্গানিজম) এনেই ছাড়বে।

আমার মন্ত্রণালয় যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় না, আমি এ বিষয়ে কিছু করতে পারছি না। কিন্তু আমেরিকানদের সঙ্গে যতই কথাবার্তা হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে— তাদের জিএমও আনার জন্য – কৃষিটাকে ওরা দখলে নিয়ে নেবে এবং কোম্পানিগুলো চলে আসবে।’

ফরিদা আখতার বলেন, ‘ব্রাজিল ও জাপান তো অনুরোধ করে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলে—কথাই বলতে পারবে না, মানতেই হবে।

এরকম একটা অবস্থায় আছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নন-ডিসক্লোজারর এগ্রিমেন্টের বিষয়ে আমার মত হলো— একজন নাগরিক হিসেবে এটি আমরা গ্রহণ করতে পারি না। আমি নিজেই অসহায় বোধ করছি এটার জন্য।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *