ঢাকা: এরা কখন কে যে কি বলে বসেন তার কোন লাগাম নেই। তা মন্দ নয়। চলতে থাকুক তাদের নিজেদের মধ্যকার গুঁতোগুঁতি।

সাধারণ জনগণ তালিয়া বাজাও, চলিতেছে ডাস্টবিন- ফরিদা সার্কাস! সম্পূর্ন বিনামূল্যে!

ফরিদা না শফিকুল? কে সঠিক আর, কে ভুল?

তার হিসাব কী জনগণ দেবে? উপদেষ্টা আর ডাস্টবিনের লড়াই, জাঁতাকলে জনগণের প্রাণ যায়।

বাংলাদেশ এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সংকটময় সময়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি প্রণয়ন হচ্ছে, তা শুধু অর্থনৈতিক আলোচনার বিষয় নয়। এটি কৃষি এবং খাদ্য সার্বভৌমত্বকেও স্পর্শ করছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার একটি অনুষ্ঠানে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র জিএমও (জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড অর্গানিজম) কৃষি পণ্য আনার উদ্যোগ নিতে পারে, এবং বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো আমাদের কৃষি বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

তাঁর মতে, এটি কৃষকদের স্বাবলম্বিতা হ্রাস করবে এবং বীজ ও জমি নিয়ন্ত্রণে কর্পোরেট আধিপত্য তৈরি করবে।

তিনি বলেন, “আমার মন্ত্রণালয় যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় না, আমি এ বিষয়ে কিছু করতে পারছি না। কিন্তু যতই কথাবার্তা হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে, তাদের জিএমও আনার জন্য কৃষিটাকে দখলে নিতে চাইছে এবং কোম্পানিগুলো চলে আসবে।”

ফরিদা আখতার আরও উল্লেখ করেছেন, ব্রাজিল ও জাপান অনুরোধ করলেও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির বিষয়ে শর্ত মানতে বলছে। নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্টের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, একজন নাগরিক হিসেবে এটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং নিজেও অসহায় বোধ করছেন।

তবে ডাস্টবিন শফিক তো ভীষণ চতুর ব্যক্তি। ফরিদা আখতার তো বলে দিয়েছেন সত্যিটা, ডাস্টবিন শফিক কীভাবে ম্যানেজ দেবেন তার চিন্তা করছেন!

আমরা আগেই বলেছিলাম, ফরিদা আখতারের এই কথায় কয়দিন উপদেষ্টা গিরি থাকে দেখেন!

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, উপদেষ্টা ফরিদা আখতার “ভুলভাবে কথা বলেছেন।”

তাঁর ব্যাখ্যা হলো, খসড়া চুক্তি প্রকাশ না করা কূটনৈতিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া। তিনি জোর দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং চুক্তি চূড়ান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গোপনীয়তার শর্ত তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হবে।

এ পরিস্থিতি একটি স্পষ্ট সংকেত পাঠাচ্ছে। নন-ডিসক্লোজার কূটনৈতিক রীতি অনুযায়ী স্বাভাবিক হলেও, জনমত ও স্বচ্ছতার অভাব উদ্বেগের কারণ। গণমানুষের অধিকার ও কৃষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্ধেকই থাকবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *