চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে সনাতনীদের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চায় এই অন্তর্বর্তী সরকার।
চিন্ময় প্রভু এমন কোনো অপরাধ করেননি যার জন্য তাঁর মুক্তি চেয়ে মানুষ পথে নামলে তাঁদের গ্রেপ্তার করে মানুষের মন থেকে তাঁর নাম মিটিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে !
কোনো ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে প্লেকার্ড প্রদর্শন, মানববন্ধন, প্রতিবাদ করা জনগণের একটি সাংবিধানিক অধিকার।
চট্টগ্রামে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে প্ল্যাকার্ড বহন করায় ছয় জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে।
শনিবার বেলা একটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকানন এলাকা থেকে তাদেরকে পুলিশ আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নামে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসায় ছয় জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা চলাকালীন সময়ে কয়েকজন তরুণ ‘চিন্ময়ের মুক্তি চাই বলে স্লোগান দেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশ তাঁদেরকে আটক করে তাঁদের হেফাজতে নেয়। তাঁদের কাছে ‘চিন্ময়ের মুক্তি চাই’ লেখা সম্বলিত প্লাকার্ডও ছিল।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়।
এর কয়েকদিন পর গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। একই বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়।
এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন ২৬ নভেম্বর তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের আদালত। সেদিনই চিন্ময় দাসের আইনজীবীরা ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চেয়ে আবার জামিন আবেদন করেছিলেন।
তাঁর জামিনকে ঘিরে আদালত পাহাড়ের নীচে বিভিন্ন স্থানে চিন্ময়ের অনুসারিদের সঙ্গে চিন্ময়ের জামিনের বিরোধিতাকারি কিছু ইসলামী সংগঠন ও পুলিশ- বিজিবির সংঘর্ষ হয়।
এই সংঘর্ষের সময় পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে রঙ্গম করভেনশন হলের গলিতে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবী সেখানে আরো কয়েকজনের সঙ্গে গেলে সেখানে সংঘটিত সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে তিনি মারা যান।
গত ৩০ এপ্রিল ওই মামলায় তাঁকে জামিন দেন হাইকোর্ট। কিন্তু জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে তাঁর মুক্তি আটকে যায়।
মিথ্যা রাষ্ট্র দ্রোহ মামলা সহ চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী হত্যা মামলার আসামী করে তাঁকে গ্রেফতার করে রেখেছে বর্তমান সরকার।
একজন মানুষ জেলে থেকে কিভাবে এডভোকেট আলিফ কে হত্যা করেন বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ করেনি প্রশাসন কারণ সত্য প্রকাশ পাবে।