২০২৫ এর ১৫ আগষ্ট। ভেঙ্গে দেয়া, পুড়িয়ে ফেলা, বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেয়া ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটিতে যেতে এক রিক্সাচালক আজিজ নিজের রক্ত ঘামকরা পয়সায় ফুল কিনে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বেধড়ক মারধরের শিকার হলেন।
রিক্সা ভেঙ্গে দেয়া হলো। যা তার আয়ের একমাত্র সম্বল। কারা ভাংলো? বিএনপি- জামাত- এনসিপি নামধারি কিছু তস্কর। বেধড়ক মারধরের শিকার হতে হতে সেই রিক্সাচালক বললেন- আমি জয় বাংলা, আমি জয় বঙ্গবন্ধু’ ।
বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার সমাধিস্থলে গিয়ে মোনাজাতের জন্য ছুটে এসেছিলেন সপরিবারে মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ্। কিন্তু ইউনুসীয় পুলিশ তাকে যেতে দেবেনা। কিন্তু তিনিও নাছোড়বান্দা। তিনি বললেন– এই দেশটা যিনি এনে দিয়েছেন আমি তার কবর জেয়ারত করতে এসেছি। কবর কেন জেয়ারত করতে দেবেন না!?
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ডা: আজহারুল হকের সত্তরোর্ধ্ব স্ত্রী দুইটি ফুল হাতে চলে যান ভাঙা বাড়িতে। তাঁকে ঢুকতে দেয়া হয়না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলেন- বঙ্গবন্ধু হত্যার সংবাদ শুনেই প্রথম তাঁর মনে হয়েছিলো, কে আর তাঁকে দেখে রাখবে?
নাহ্! এরা কেউই আওয়ামীলীগের কেউ না। এরা ক্ষমতার কোন ভাগ পাননি। কোন স্বাদ পাননি। কিন্তু এঁরা বোঝেন বঙ্গবন্ধুকে। এরা শুধু জানেন এই মুজিব এই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। পাকিস্তানী হানাদারমুক্ত করে বিশ্বে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গার গান গাইতে শিখিয়েছেন।
তো এরাইতো সত্যিকার বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। সত্যিকার দেশ প্রেমিক। শত সহস্র বাধা উপেক্ষা করে এঁরা ভালোবাসা শ্রদ্ধা জানাতে গেছেন। আর কি চাই বলুন বঙ্গবন্ধুর!
তাই বলি– যারা এতদিন সারাক্ষণ বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিব শেখ মুজিব, জাতির পিতা জাতির পিতা বলে তেতো বানিয়েছেন তারা নন প্রকৃত মুজিব প্রেমিক। এই চরম দুঃসময়ে ওই রিক্সাচালক, ওই মাওলানা, ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর মত সারাদেশে যেমন হাজার, লক্ষ- কোটি সাধারণ মানুষ আছেন তারাই বঙ্গবন্ধুর সত্যিকার অনুসারি। সত্যিকার প্রেমিক। সত্যিকার বন্ধু। এঁরা মেকি কান্না জানেনা।
এঁরা লাইসেন্স, পারমিট, নেতা- এমপি- মন্ত্রী হতে চায়না। এঁরা শুধু এই দেশটিকে ভালবেসে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন যে মানুষটি সেই মুজিব নামের মানুষটিকে ভালোবেসে এসেছিল। আজীবন ভালোবাসবে। শ্রদ্ধার আসনে বসিয়ে রাখবে তাঁকে।
কারণ তাঁরা জানে ওই বঙ্গবন্ধু কারো কাছে মাথা নত করেননি। এদেশের মানুষকে শুধু ভালোবেসেছেন। সাধারণের মত থাকতে চেয়েছিলেন। সবচেয়ে বড়ো বিষয়– বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন দেশ এনে দিয়েছিলেন।
তাই জঙ্গী ইউনুস সরকার যতই অত্যাচার নির্যাতন আর বাধা দিক না কেন কোন কিছুইতো মানবেনা এই নরম আবেগ প্রবণ মানুষগুলো।
সশস্ত্র প্রহরা বসিয়েছিল ৩২ নম্বর ঘিরে। আর ছিল বিএনপি- জামাত- এনসিপি’ র কিছু ক্যাডার। যারা মনে করেছিল আওয়ামীলীগ- ছাত্রলীগ ঠেকাবে। কিন্তু তারাতো নেই। তো কাদের ঠেকালেন আপনারা? এই বাংলার সাধারণ মানুষদেরকে? যারা নিঃস্বার্থভাবে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে– তাদেরকে? কি বোকা আপনারা! রাজনৈতিকভাবে চরম দেউলিয়া হয়ে গেছেন আপনারা। উন্মাদ ও পিশাচ হয়ে গেছেন।
এত ভয়! এত আতংক! এত নিষ্ঠুরতা! এত প্রতিহিংসা ওই মৃত মানুষ শেখ মুজিবের ওপর? যার অঙ্গুলি হেলনে পুরো বাঙ্গালী জাতি জেগে উঠেছিল পাকনহানার বাহিনীর বিরুদ্ধে।
যার এক ডাকে সারা দেশ উন্মাতাল ঝড়ের বেগে ছুটেছিল মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য। যাকে পাকবাহিনীও প্রচন্ড ভয় পেতো। পাক শাসকরাও বঙ্গবন্ধুকে মারতে সাহস পায়নি। আর তাঁকেই কিনা কতক বাঙ্গালী তস্কর ভেবেছিল গুলিতে বুক ঝাঁঝরা করে দিলেই সব শেষ হয়ে যাবে!
কিন্তু মানুষের হৃদয়ে, দেশের প্রতিটি ধুলিকনায় যার অস্তিত্ব বিরাজ করছে আবহমান কাল ধরে তাঁকে শেষ করা যায় না।
ধানমন্ডির বাড়িটি ধ্বংসস্তুপ করেছো তোমরা হে অর্বাচীন তস্কর। কিন্তু সেখান থেকেই তো এই জাতির স্বাধীনতা এসেছে। এ জাতির মুক্তির ডাক এসেছিল এই বত্রিশ নম্বর থেকেই।
তিনি শুয়ে আছেন ঠিকই টুঙ্গিপাড়ায় শান্ত মাটিতে। কিন্তু তাঁর আদর্শের বীজ থেকে যে গাছ হয়েছিল বাংলাদেশ নামে তা কিন্তু এখন মহীরুহ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাথা উঁচু করে। তাঁর ওপর অনেক ঝড় ঝাপ্টা যাবে। কিন্তু সে ভাঙবে, তবে মচকাবেনা। সে হলো আমার সোনার বাংলা। সে হলো আমার জয় বাংলা।
এ আমাদের রক্তেগড়া সোনার বাংলা। রক্তে গড়া জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধু তো ভাষ্কর্যে, ছবিতে, মুরালে সীমাবদ্ধ নয়। মুজিবতো বাঙ্গালীর হৃদয়ে। বাঙ্গালীর মর্মমূলে। সেখান থেকে তো তাঁকে উৎপাটন করা যাবেনা।
এই শেখ মুজিব কাল্ট ভাঙতে হলে তাঁর ভাস্কর্য, তাঁর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে আর দিনরাত মিথ্যাচার করে সফল হওয়া যাবে না। কাল্ট ভাঙতে হলে- শেখ মুজিব এই বাংলার যতোপথ ধরে হেঁটেছেন ততো পথ হাঁটতে হবে, যতো মানুষের কাছে গিয়েছেন ততো মানুষের কাছে যেতে হবে।
শেখ মুজিবের চেয়ে দীর্ঘ শালপ্রাংশু হয়ে উঠতে হবে। ক্ষুদ্রতা, হীনতা দিয়ে সাময়িক ভয় দেখানো যাবে।
কিন্তু ভয় তুচ্ছ করে একজন গার্মেন্টস শ্রমিক, একজন দরিদ্র্য মওলানা, একজন অতি দরিদ্র রিক্সা চালক, একজন শহীদের স্ত্রী- শেখ মুজিবকে কাল্ট হিসাবেই বাঁচিয়ে রাখবেন।
কিচ্ছু করার নেই!
গ্রামেগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরলে বোঝা যায় সেই সোঁদা মাটির বঙ্গবন্ধুকে এখনো বুকে আগলে রাখেন গ্রামের গরীর , চাকচিক্যহীন, ক্ষ্যাপাটে মানুষেরাই। তাঁদের ক্ষোভ আছে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা- ক্যাডারতের দুর্বৃত্তায়নে, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে হুটহাট নেতা হয়ে যাওয়া টাকাওয়ালাদের প্রতি।
এই ক্ষ্যাপাটে মানুষেরা সুযোগ পেলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এখনো কথা বলার সাহস রাখেন তাঁরা। গ্রামের দোকানের চায়ের আড্ডায় জোর গলায় বলেন- “দিন আসবে, আমাদেরকেই আওয়ামী লীগের লাগবে। কতো ন্যাতা ফ্যাতা দেখলাম- আইলো আর গ্যালো”
এই মানুষগুলোর প্রায় সকলেই বর্ষীয়ান।
তাঁদের মুখে বয়সের বলিরেখা, শরীর ভেঙ্গে গেছে। আমার ধারণা ছিলো নতুন প্রজন্মে ওরকম ক্ষ্যাপাটে মানুষ আর নেই- বঙ্গবন্ধুর প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষ আর তৈরী হচ্ছেনা।
যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলো তখনকার কথা।
নুরুজ্জামান খান, একজন গার্মেন্টস শ্রমিক। ঢাকা থেকে ফুলের তোড়া নিয়ে গেলেন টুঙ্গিপাড়া। কিন্ত প্রটোকলে আটকে গেলেন। নুরুজ্জামানকে ফুল দিতে দেয়া হলোনা।
সেই ক্ষোভে, দুঃখে নুরুজ্জামান পদ্মা সেতু থেকে লাফ দিলেন। তাঁর লাশও উদ্ধার হলোনা।পদ্মায় লাফ দেয়ার আগে ভিডিওতে কিছু কথা বলে গেলেন নুরুজ্জামান- ” আমার পিতা একটি পরিবারকে লালন পালন করেছে।
কিন্তু জাতির পিতা সমগ্র দেশকে নিয়ে ভেবেছে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য জীবন দিয়েছে। তাদের জন্য কষ্ট করেছে। জাতির পিতা সকলের পিতা। আমার ইচ্ছে ছিল জাতির পিতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবো। সেখান দেখলাম মন্ত্রী, মিনিস্টার আর প্রশাসনের লোক। সেখানে আমাদের স্থান হলো না। তারাই কি দেশের সব। আমরা কি দেশের কিছু না? ”
মন্ত্রী মিনিস্টার প্রশাসন বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখেনি। বাঁচিয়ে রেখেছে এই নুরুজ্জামানেরা, নিজেদের জীবন দিয়ে। প্রটোকলের ঘেরাটোপে আটকে যাওয়া আওয়ামী লীগের কি ক্ষমতা আছে এই ক্ষ্যাপাটে নুরুজ্জামানকে ধারন করার?
** ২০২৪ ও ২০২৫ এর ১৫ আগষ্ট কি করেছে বর্বর জঙ্গীরা!
রাতভর ডিজে পার্টি, অবরুদ্ধ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর। আগতদের হেনস্তা, মারধর। কিন্তু এই বিরুপ পরিস্থিতিতেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় শোক পালিত।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিদেশে থাকা দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের সকল সদস্য সহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় নিজের বাসগৃহে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলেও ৩২ নম্বর বলে বিখ্যাত ধানমন্ডির বাড়িতে শোকার্ত মানুষের ঢল নামতো প্রতিবছর। এই বাড়িটি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় ২০২৪ এর ৫ আগস্ট সরকারের পতন পর। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই আগের মতো মানুষের ঢল না নামার সম্ভাবনা ছিলো।
তবু দুদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি সহ বর্তমানে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলো প্রবল প্রচারণা চালায়- ১৫ আগস্ট ঘিরে আওয়ামী লীগ প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসবে।
১৫ আগস্ট ঘিরে আওয়ামী লীগের তৎপরতা প্রতিহত করতে রেজিস্ট্যান্স উইক পালন শুরু করে তারা। মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ডিজেপার্টি শুরু হয়- হিন্দী সিনেমার লুঙ্গি ড্যান্স গানের তালে তালে।
বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনের সড়কটি দুই প্রান্ত থেকে ব্যারিকেড ও কাঁটাতার দিয়ে অবরুদ্ধ করে ভেতরে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এখানেও রাত সাড়ে বারোটার পর থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীরা জড়ো হয়ে হিন্দী গানের তালে তালে নৃত্য করে।
বিষয়টি নিয়ে রাত থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। দিন বদলের প্রতিশ্রুতি দেওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে যে কারো শোক প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা না দেওয়ার দাবি জানান নেটিজেনরা।
কিন্তু সকাল হতেই ৩২ নম্বর সড়কের পরিস্থিতি আরও বদলে যায়। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের আশপাশের এলাকায় তারা লাঠি, বাঁশ, পাইপ নিয়ে অবস্থান নেয়। দলীয় ব্যানারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি।
কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্যোগে সকাল থেকে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে গিয়েছেন শোক জ্ঞাপনে। তাঁদের প্রায় সকলেই মধ্যবয়স্ক, বয়স্কজন। কেউ কেউ এসেছেন শোকের রঙ কালো পোষাকে। এঁরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ৩২ নম্বর সড়কে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
কেউ এলেই তাঁদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোথায় যাচ্ছেন, কেন এসেছেন, তা জানতে চাওয়া হয়। এমনকি পরিচয়পত্র ও মোবাইল তল্লাসী করা হয়। কাউকে কাউকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করা হয়। মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি ও পাঞ্জাবী পরিহিত মধ্যবয়স্ক একজনকে কান ধরিয়ে উঠবস করানোর চিত্র দেখা গেছে।
রিক্সায় করে আগত একজনকে প্রায় বিবস্ত্র করে লুঙ্গি ড্যান্স করতে বাধ্য করা হয়, পরে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায় শেরপুর এলাকার একজন মুক্তিযোদ্ধা।
আগত কয়েকজন নারীকেও হেনস্তা করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে মারধরের পর বেঁধে রাখা হয়। এঁদের মধ্যে দুজন মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সন্তান। পরে তাঁদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
গতবছর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
এবছর প্রবীন আইনজীবী- মুক্তিযোদ্ধা জেড আই খান পান্নার নেতৃত্বে চেতনা৭১ এর ব্যানারে বত্রিশ নম্বরের সেই ঐতিহাসিক বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচী ছিল। কিন্তু তাঁকে বাড়িতেই গৃহবন্দী/ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি বাঙালি জাতির জনক। যিনি বঙ্গবন্ধু তাঁকে বাঙালি ভুলবে কেমনে?
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নানাভাবেই তাঁকে শ্রদ্ধা ভালোবাসার অর্ঘ্য দেয়া হয়। আর বাংলায় যে যেভাবে পেরেছেন তাঁকে স্মরণ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কত মানুষ যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত করেছেন জাতীয় শোক দিবসে তা যদি বিএনপি- জামায়াত- এনসিপি আর একাত্তরের আন্তর্জাতিক অপশক্তি বুঝতে পারে তবেই মঙ্গল।
তাইতো বলি– জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেকগুন শক্তিশালী। আর তাতেই এত ভয় এত আতংক তাড়া করে বেরায় জঙ্গী ইউনুস গংদের।
# ইশরাত জাহান, প্রাবন্ধিক, লেখক।