ঢাকা: বাংলাদেশে কোন আইন নেই আদালত নেই আইনের কোন কাঠামো এখন আর জীবিত নেই! ইউনূসের ইশারায় সব চলে।
কী পরিমাণ অপদস্থ করা হয়েছে একজন প্রধান বিচারপতিকে। একজন প্রধান বিচারপতি কতটা সম্মানের,
তার উপর একজন স্বচ্ছ ও সত্যবাদী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক কতটা অপদস্থ অপমানিত হয়েছেন, এমনটা ইতিহাসে দ্বিতীয় আর ঘটেনি।
গ্রেপ্তার করেও তাঁর হাত পিছন করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দিয়েছে! অথচ পাথর দিয়ে মানুষ হত্যাকারী ও জবাই করে সাংবাদিক হত্যাকারীরা প্রিজন ভ্যানে পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানতে টানতে জেলে যায়! অথবা যায় না!
বিশ্লেষকরা বলছেন, কারো বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতে পারে, অভিযোগ থাকতে পারে।
কিন্তু আইনি পদক্ষেপের বাইরে দুই হাত পেছনে নিয়ে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা কোনো নিয়ম হতে পারে না। কিন্তু তাঁর সাথে এটাই ঘটেছে।
আদালতে তোলার সময় হেনস্থা করা মৌলিক, সাংবিধানিক ও আইনের লঙ্ঘন।
এই লঙ্ঘন এক বছর ধরে করে চলেছেন ইউনূস। কে বলবে? কে প্রতিবাদ করবে?
অন্তর্বর্তী সরকারকে ধিক্কার দেয়ার ভাষা নেই জনগণের। তাঁরা এমনটাই বলছেন।
জুলাই-অগাস্টে ছাত্রজনতার আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় (যদিও সবটাই ষড়যন্ত্র) সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানি দুই মাস পিছিয়েছে।
খায়রুল হকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আসলে খায়রুল হককে শায়েস্তা করতে হবে, দাবি ছিল একটি মহলের। কিন্ত মামলা দাঁড় করানোর মত পর্যাপ্ত রসদ খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
মামলা করতে cause of action লাগে। এতদিনেও যখন কোন পথ খুঁজে পাওয়া গেল না, দিয়ে দাও একটা খুনের মামলায় আসামী করে।