ঢাকা: এবার স্বয়ং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথা বরাবর বোতল নিক্ষেপ করা হলো। যখন তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে জলের বোতল কে ছুড়েছে, তাকে খোঁজার কথা বলছে পুলিশ।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “আমরা ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।”
মাথায় আঘাত পাওয়ার পর মাহফুজ বলেন, “আপনাদের অপকর্মের মাধ্যমে আপনারা পুলিশের অবস্থানকে নায্যতা দিলেন।”
প্রসঙ্গত, ১৪ মে রাত ১০টার কিছু পরে ঢাকার কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখানে মাহফুজ যান তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে। সেই সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন মাহফুজের কথাবার্তায়। সেই সময় মাহফুজ আলমের মাথা লক্ষ্য করে একদম সঠিক নিশানায় একটি জলের বোতল ছোড়া হয়। এরপর আর কথা না বলে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
পরে সাংবাদিকদের মাহফুজ বলেন, ‘আমার সাথে আজ যেটা হয়েছে তার পিছনে আছে অন্তর্ঘাতকারী। অন্তর্ঘাত করার জন্য বিভিন্ন আন্দোলনে ঢোকে এরা। আমি শুধু তাদের নাম আজ উল্লেখ করব না। মিডিয়ার দায়িত্ব, প্রশাসনের দায়িত্ব তাদের এবং তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বক্তব্য দেওয়ার সময় আন্দোলন সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করলে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। একপর্যায়ে তার মাথায় বোতল ছুঁড়ে মারা হয়। পরে তিনি বক্তব্য থামিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের একাধিক রাজ্য মিলিয়ে ‘অখণ্ড বাংলাদেশ’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন এই মাহফুজ। তাঁর সেই পোস্ট ঘিরে অবশ্য বিতর্ক শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। মহম্মদ ইউনুসের ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত এই মাহফুজ আলম।
তাঁকে এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছিলেন ইউনুস। মাহফুজকেই ‘বিপ্লবের মাথা’ আখ্যা দিয়েছিলেন ইউনুস। এবং সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।