ঢাকা: জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির একজন ধূর্ত ব্যক্তি! জঙ্গী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই জামায়াত ষড়যন্ত্রের মূলে ছিলো। এটা শেখ হাসিনা ঠিক বুঝতে পেরেছিলেন।
নায়েবে আমির বলেছিলেন, “আমরা মৌলিক ভূমিকা পালন করেছি এবং খুবই সচেতন ছিলাম, এটা যে জামাত শিবিরের আন্দোলন তা যেন প্রকাশ না হয়। আমরা চেয়েছি একটা সার্বজনীন রুপ দেওয়ার জন্য।
এটা যদি প্রকাশ হতো ছাত্রশিবিরের মাধ্যমে জামায়াতই এই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছে তখন অনেকের মধ্যেই এক ধরণের রিজার্ভেশন তৈরী হতো। যেমন বামদের ভিতর বা যারা বামদের পছন্দ করে না। আমরা খুব সচেতনভাবেই এই কৌশল নিয়েছিলাম যাতে এটা প্রকাশিত না হয়।”
এরা সচেতনভাবে গোটা দেশকে ধ্বংস করেছে।
এখন এই সরকারকে নিজেরাই বলছে ফ্যাসিবাদ।
বর্তমান সরকার ‘ফ্যাসিবাদের’ সঙ্গে আপোস করছে অভিযোগ করে জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পরে জনগণ যাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল তারাও আজ ফ্যাসিবাদের সাথে আপোস করছে।
দেশকে ফ্যাসিবাদের কবল মুক্ত করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে, যারা তড়িঘড়ি করে নির্বাচন চায় তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না।
”প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, আগে সংস্কার ও বিচার তারপর নির্বাচন। আমরাও তাই বলতেছি।”
সংস্কার-বিচার না করে এবং জুলাই ঘোষণা ও সনদ বাস্তবায়ন না করেই যারা নির্বাচন চায় তারা মূলত ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায় বলে মন্তব্য করেন জামায়েতের নায়েবে আমির।
মূলত এই কথার উদ্দেশ্য বিএনপি। কারণ জামাত, এনসিপি পর্দার আড়ালে সরকার পরিচালনা করছে।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তাহের বলেন, “আপনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করেন, গোলটেবিল বৈঠক করেন; তারপর দেখেন জনগণ কী চায়। জুলাই সনদ ও ঘোষণা রাষ্ট্রপতির ঘোষণার মাধ্যমেই আইনি ভিত্তি প্রদান করা সম্ভব।”