ঢাকা: ইউনূস আমলে বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক নিয়ে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে ব্যাংকটিকে দুর্বল করে একীভূতকরণের দিকে নিয়ে যাওয়াই এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য।
খাত বিশ্লেষকরা তাই বলছেন। তাঁরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে দেশি-বিদেশি একটি চক্র।
তবে এক্সিম বলছে, দেশের এক সময়ের শক্তিশালী এই ব্যাংক নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা থাকলেও সেটা ধোপে টিকবে না।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক সংশ্লেষের জন্য এক্সিম ব্যাংকে বলির পাঁঠা বানানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
এক্সিম ব্যাংক নিয়ে একটি সাংঘাতিক নেতিবাচক ধারণা জনগণের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এবার ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
খাত ভেঙে দেয়ার ধান্দা হচ্ছে।
রবিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ এ মামলা করেন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য দিয়েছেন।
নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবিরও সাবেক চেয়ারম্যান।
২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১ অক্টোবর গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের এ মামলায় আসামি তালিকায় রয়েছেন- ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ এর প্রোপ্রাইটর মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূইয়া।
অর্থনীতিবিদরা পরিষ্কার বলছেন, কোনো ব্যাংক নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংককে এ ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
এক্সিম ব্যাংক একটি প্রভাবশালী ব্যাংক। ব্যাংকটির কিছু হলে অর্থনীতিতে বড়সড় প্রভাব পড়বে।