ঢাকা: মুফতি হারুন ইজহার হচ্ছে একজন জঙ্গী নেতা। অথচ দেখা যাচ্ছে জঙ্গী নেতা মুফতি হারুন ইজহারের সাফাই প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে। এই কাজটি খুব সচেতনভাবে করা হচ্ছে! যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

মুফতির মতো একজন জঙ্গীকে প্রটেকশন দেয়ার অর্থ কী? কার‌ লাভ?

হেফাজতে ইসলামের উগ্রপন্থীদের নেতৃত্ব দিতেন শায়খ মুফতি হারুন ইজহার। সংগঠনে তাকে সবাই ‘মানহাজি’দের দলনেতা হিসেবে চিনতেন।

বক্তব্য-বিবৃতিতে জিহাদের ডাক দেওয়া হারুন ইজহারকে এর আগেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জামিনে বেরিয়ে এসে আগের মতোই উগ্রপন্থা মতবাদ ছড়িয়ে কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন তিনি।

তার সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ ও জেএমবির নেতাকর্মীদের যোগাযোগ রয়েছে।

মোদিবিরোধী আন্দোলনের নামে হেফাজত হাটহাজারীতে যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার মদদদাতা ছিলেন এই হারুন ইজহার।

একজন আপাদমস্তক উগ্রবাদী এই হারুন ইজহার।

মুফতি হারুন বিন ইজহার লালখানবাজারে পাহাড়শীর্ষে অবস্থিত ‘ জামেয়াতুল উলুম আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা’র প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক মুফতি ইজহারুল ইসলামের পুত্র।

এরা পিতাপুত্র উভয়েই আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জেহাদ ও লষ্কর-ই-তৈয়বা’র সঙ্গে জড়িত।

এই মাদ্রাসাতেই ২০১১ সালের ৭ অক্টোবর বোমা বানানোর সময় বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে। মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে বোমা বানাতে গিয়ে তিনজন নিহত হয়, যাদের মধ্যে একজন ইসলামী ছাত্র শিবির ক্যাডার ও বোমা তৈরীর কারিগর ছিলেন বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গানপাউডার ও বারুদসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল তখন।

এ ঘটনায় এই পিতাপুত্র উভয়ের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

পাকিস্তান-আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন ইসলামী দেশের জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে এদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এবং এরা জঙ্গী ট্রেনিংও নিয়েছেন।

তবে উভয়েই এখন কারামুক্ত ও নানা ষড়যন্ত্র করছেন বর্তমান ইউনুস সরকারের আমলে।

সম্প্রতি সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দির এলাকায় মসজিদ নির্মাণ করবে এরা- এমনটাই বলছিলো। প্রায় নিশ্চিত করে দেয়া হয়।

তবে গা বাঁচাতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি হারুন ইজহার। যদিও তার কথাকে মুক্তিকামী জনগণ গুরুত্ব দেয়নি। কারণ এরা মিথ্যাবাদী। আসল সত্য চাপা দিয়ে ভিতরে কাজ চালায়।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন তথ্য জানান।

ফেসবুক পোস্টে হারুন ইজহার লেখেন, ঢাকার কিছু তরুণ আলেম উদ্যোক্তা গতকাল আমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন।

আমি তখন সফরে বের হচ্ছিলাম, মাত্র কয়েক মিনিট কথা হয় তাদের সাথে। সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দির এলাকায় কোনো মসজিদ নির্মাণের অভিপ্রায় তারা ব্যক্ত করেননি।

তারা শুধু বলেছেন পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত কোনো জায়গায় একটা মসজিদ দরকার এবং এ বিষয়ে তারা অর্থায়নে আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমি তাদের এর জন্য সাধুবাদ জানাই। আর আমিও মনে করি ইকোপার্ক অংশে মুসলিম পর্যটকদের সুবিধার জন্য ইবাদাতখানা নির্মাণের জন্য প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে একটা উদ্যোগ নেওয়া যায়।

সর্বশেষ তিনি বলেন, বাস্তব ঘটনার বিপরীতে একটি মহল এ বিষয়ে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে হিন্দু সমাজকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। ভুল তথ্য প্রচার করে ধর্মীয় উত্তেজনা না ছড়ানোর জন্য সবার কাছে অনুরোধ করছি।

ইজহার মূলত সাফাই গাইছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *