মার্কিন ডিপষ্টেটের প্ল্যান-প্রেসক্রিপশন মতে প্রতারক-জঙ্গী ইউনুস সরকার দেশের মানুষকে যেমন খুশি তেমন বোকা বানিয়েই চলছে।
সরকার প্রধান ড. ইউনুস কখনো বলছেন আগামী রোজার আগে ফেব্রুযারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আবার বিদেশী সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া নানা সাক্ষাতকারে তিনি ( ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট চীফ অ্যাডভাইজার ড. ইউনুস) বলছেন শুধু নির্বাচন দিয়ে সরকার পরিবর্তন করলেইতো হবেনা।
যে সংস্কারের জন্য এতসব আন্দোলন, এত ত্যাগ তা পূরণ না হলে নির্বাচন দিয়ে কি লাভ হবে ! অথচ তিনি ও তাঁর পারিষদবর্গ ওদিকে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। তার মানে কি? বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো চাইছে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হোক। শুধু জামায়াত-এনসিপি ছাড়া।
কিন্তু নোবেল লরিয়েট ড. ইউনুস যাদের দ্বারা ( মার্কিন প্রশাসন) পরিচালিত তারা কি চাইছে সেটির ওপরই অনেকটা নির্ভর করছে কখন নির্বাচন হবে।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন এর নানা তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে ড. ইউনুস সরকার প্রধান নন।
জ্যাকবসনই সরকার প্রধান এবং প্রধান উপদেষ্টার অফিস নয় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসই বাংলাদেশের সরকার প্রধান কার্যালয়। এর চেয়ে নতজানু নীতি-কর্মকান্ড আর কে কবে দেখেছে এই বাংলাদেশের রাজনীতিতে !? ইউনুস যেন এক পাপেট। আর দেশে চলছে পাপেট শো।
কথাগুলো এ কারণেই বলছি যে, গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাস্থ মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে খুব তৎপর দেখছি আমরা।
একবার তিনি সুদূর লন্ডন উড়ে গিয়ে বিএনপির নেতা তারেক রহমানের ( অত্যন্ত ক্ষমতাশালীই শুধু নন বরং বিএনপির হর্তা-কর্তা-বিধাতা বলা যায় তাকে) সঙ্গে দরকষাকষি করে আসছেন।
আবার জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, ও জঙ্গী টোকাইদের গজায়মান রাজনৈতিক দল এনসিপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আবার বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিটির নেতা আলী রিয়াজের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করছেন।
এর পর পরই আলী রিয়াজের কমিটির মেয়াদ আরও এক মাস বেড়েছে। অথচ এই আলী রিয়াজ হচ্ছেন মার্কিন নাগরিক। আইনত তাঁরতো কোন কথা বলারই অধিকার নেই সংবিধান নিয়ে। অথচ জাতির কি দুর্ভাগ্য, এই আলী রিয়াজকেই সংবিধান সংস্কারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আরো অবাক হতে হয় বিএনপি’র মত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলসহ অন্য যেসব কথিত দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে বলে দাবি করে তারাও নিশ্চুপ !
জামায়াতে ইসলামীর কথা না হয় বাদই দিলাম। এ দলটিতো সংসদীয় গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করেনা। বিশেষ করে মানব রচিত কোন আইন তারা মানেন না তাদের ঘোষণা অনুযায়ী।
কারণ তারা তো বলেই বেড়ায় -তারা দেশে কোরআনের শাসনব্যবস্থা চালু করতে চায়। যদিও তারা এতদিন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মানব রচিত আইনের অধীনেই চলে আসছেন। চরম মোনাফেকের দল এই জামায়াতে ইসলামী তাদের জন্মলগ্ন থেকে।
যে বিএনপি দাবি করে তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। দলটি নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই দাবি করেন।
সেই দলে এখনো বেশ কিছু বুঝদার সিনিয়র রাজনীতিবিদ রয়েছেন। তারাও একেবারে ‘স্পিকটি নট’ হয়ে আছেন এই কথিত সংবিধান সংস্কারক আলী রিয়াজ সম্পর্কে। এ ব্যাপারে শুধুমাত্র সোচ্চারভাবে কথা বলতে দেখা যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ফজলুর রহমান সাহেবকে।
যিনি একসময়ে ছাত্রলীগের তুখোড় নেতাই শুধু ছিলেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধাও তিনি। দেখা যায় তিনি এখন বাংলাদেশে রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রচন্ড রকমের সরব ভূমিকা পালন করছেন অকুতোভয়ে।
**চীন-ভারত-রাশিয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য ।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে যেমন রয়েছে তেমনি বিপদেও রয়েছে। মর্কিন ডিপষ্টেট পলিসি ও সেই পলিসি অনুযায়ী ড. ইউনুসের ‘ মেটিকুলাস ডিজাইন’ অনুযায়ী যে এখানকার রাজনীতি-অর্থনীতি সবকিছু চলবে তা কিন্তু নয়।
চীন-রাশিয়া-ভারতের মত ত্রিশক্তির কৌশলগত মারপ্যাঁচও এক্ষেত্রে বেশ প্রভাব রাখবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।
কারণ বাংলাদেশকে ঘিরে তাদেরও নানা স্বার্থ রয়েছে। প্রথমত: বাংলাদেশের তিনদিক ঘিরে থাকা ভারত চাইবেনা এদেশটিতে ইসলামী জঙ্গীরা রাজত্ব করুক, যা তার জন্য প্রচন্ড হুমকিস্বরুপ। চীন ও রাশিয়া চাইবেনা বাংলাদেশে আমেরিকা ঘাঁটি গেড়ে বসুক, বিশেষ করে সামরিক ঘাঁটি। বাংলাদেশ ও মায়ামমার চীন-রাশিয়া উভয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
ওই যে মার্কিন দূত জ্যাকবসনের নানা বৈঠক ও দূতিয়ালি কথা বলছিলাম তাতে বেশ কিছু সম্ভাবনা বা ধারণা রাজনৈতিক মহলে প্রচলিত রয়েছে।
সেগুলো হলো- লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার করা হবে, তিনি সুবিধাজনক সময়ে দেশে ফিরে নির্বাচনের মাধ্যমে জিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।
আর ড. ইউনূস হবেন প্রেসিডেন্ট। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, তাই বিএনপি সরাসরি এই জঙ্গী ইউনুস সরকারের বিরোধিতা করছে না, মাঝে মধ্যে তাদের নেতারা একটু গরম গরম কথা বলেন মাত্র। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের ব্যাপারে এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে বিএনপি।
কিন্তু ওদিকে আবার আগামি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে নানা রকম বিরোধিতা করছে একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী।
আর জঙ্গী টোকাই দল এনসিপি’চ্যাংড়া নেতারাতো রীতিমতো সরকারের বিরুদ্ধে ( যদিও এই সরকারটি তাদেরকে নিরাপত্তাসহ সব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যাচ্ছেন তাদের ভাষায় -জুলাই আন্দোলনে হত্যাকান্ডের বিচার ও সংবিধান সংষ্কার না করে কোন নির্বাচন তারা মানবেন না।
যতদূর জানা গেছে এই জামায়াত ও এনসিপিকে মাঠে থেকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করার জন্য কৌশলে কাজে লাগানো হচ্ছে মার্কিন প্রশাসনের নীলনকশা অনুযায়ী।
আবার ইউনুস সরকার অন্যদিকে বলে যাচ্ছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। দুমুখো সাপের মত আচরণ এই ইউনুসীয় সরকারের।
নানা সূত্র থেকে যতদূর জানা গেছে, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসে দায়িত্ব পালনের আগে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ( সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজ্য) এবং কসোভোতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় সাফল্যের সাথে কাজ করেছেন।
তাই বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে বর্তমানে ‘গোঁজামিলের’ বাংলাদেশে “ বিশেষ কূট-রাজনীতি”র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে এখন পর্যন্ত কোন মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক হাওয়ার গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের দ্রুত কূটনৈতিক চাল বা প্রভাব তেমন কোনও কাজে নাও আসতে পারে , কারণ বিএনপি’র মালিক তারেক রহমানের দেশে ফেরা এখনও অনিশ্চিত।
এটিও একধরনের রাজনৈতিক খেলা চলছে। আমরা দেখতে পেলাম ইতিপূর্বে ড. ইউনূস যখন লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দিলেন, সেই দিনই তারেকের সকল মামলা প্রত্যাহার হলো সরকারের নির্দেশে।
২০০৪ এর ২১শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যভেন্যুতে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলাসহ আরো যেসব মামলায় সাজা হয়েছিল আদালতের রায়ে তার সবগুলো থেকেই তিনি খালাস পেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে এই মুহূর্তে তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনও ধরনের বাধা নেই।
কিন্তু অপরদিকে ড. ইউনূস যখন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করছেন সে সময় দেশে তারেকের মামলা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হলো। সরকারের মধ্যেকার এক পক্ষের নির্দেশে এটিও একধরনের রাজনৈতিক খেলা।
অথচ জামায়াতের নেতা একাত্তরের ঘাতক আজহারুল ইসলামের যাবজ্জীবন সাজা মওকুফ হয়ে গেল, কিন্তু তারেক রহমানের মামলা ঝুলেই রইলো ! তাহলে বুঝুন রাজনীতি কোথায় কিভাবে চলছে ?
আবার সরকারের অন্যতম অংশীদার এনসিপি’র নেপথ্যগুরু নতুন পাগড়িধারি শশ্রুমন্ডিত ফরহাদ মজহার সাহেব সরাসরি নির্বাচনের বিরোধীতায় মাঠে নেমেছেন। তার শিষ্যরা ( এনসিপি’র নেতারা) কেউ নির্বাচন চায় না কারণ, এখন নির্বাচনে গেলে তাদের জামানত হারাতে হবে, যদি সঠিকভাবে ভোট হয় বা ভোট দিতে পারেন ভোটাররা।
তারা দীর্ঘমেয়াদে সংস্কার চান যেন কয়েকটা বছর অনায়াসে টাকাপয়সা কামিয়ে দল গোছানো যায়। আবার পরিস্থিতি বেগতিক দেখলে বিদেশে পাড়ি জমানোর সব প্রক্রিয়াই করে রেখেছেন কথিত জুলাই বিপ্লবের অনেক নেতা।
আর জামাতের বিষয়টি হলো- তারা এমনিতেই প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় তাদের শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে ইতিমধ্যে। তাই অযথা আশু নির্বাচন করার দরকার কি ?
তারচেয়ে এভাবেই ক্ষমতার সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারাটাই অনেক নিরাপদ তাদের জন্য। পাশাপাশি সারাদেশে সাংগঠনিকভাবে তাদের দল গোছানোরও একটি ব্যাপার রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতির অন্দর মহলে আরেকটি বিষয় শোনা যায়, তাহলো- তারেক রহমান যেন দেশে ফিরতে না পারে অন্যতম ‘বাঁধা’ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
২০০৮ সালে তারেক যখন মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার নামে দেশ ছাড়েন আগে তাঁকে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে গ্রেফতার করে এমনভাবে ইন্টারোগেশন করা হয় যাতে তার মেরুদন্ডের দুটি হাঁড় ভেঙে যায়।
তাঁকে হুইলচেয়ারে করে বিমানে তোলা হয়েছিল। তারেক বিদেশে গিয়ে কোন রাজনীতি করবেন না এমন মুচলেকা দিয়েই তবে দেশ ছাড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন এমনটাই জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে তারেক রহমানের সেই ইন্টারোগেশন টিমে তৎকালীন একজন কর্মকর্তা হিসাবে ছিলেন এখনকার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার। তাই এখন তিনি কোনওভাবে চাইবেন না তারেক রহমান দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী হোক।
কারণ সেনাবাহিনীর প্রতিটি উচ্চপদস্থ অফিসারই জানেন যে তারেক জিয়া তার প্রয়াত পিতা জিয়াউর রহমানের চেয়েও নিষ্ঠুর। তাই প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একমাত্র জীবিত পুত্র তারেক জিয়া যেন দেশে ফিরতে না পারে সেই ব্যবস্থা করবেন ওয়াকার- এটাই স্বাভাবিক।
এ সবকিছু মিলে প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে- যেখানে মার্কিনীরা চাইছে বিএনপি ক্ষমতায় আসুক, তারেক জিয়া প্রধানমন্ত্রী হোক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনকার বাংলাদেশে যা চায় তা হতেই হবে বা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ওয়াকার কতদিন মার্কিন চাপ মোকাবেলা করতে পারবেন ?
তিনি জানেন তার উপর ভয়ানক চাপ আসবে। তাই ‘বিশেষ প্রয়োজনে’ রাশিয়া সফর করে এসেছেন। এবার এ মাসের শেষে চীন সফরেরও কথা রয়েছে।
তিনি চীন থেকে ফিরতে না ফিরতে সাংহাই সামিটে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবেন পুতিন-মোদী-জিনপিং। অনেকটা অনুমান করা যাচ্ছে- ওয়াকার সাহেব ‘ রাশিয়া-ভারত-চীন’ বলয়ে ঢুকতে চাইছেন।
যতদূর জানা যাচ্ছে মুহাম্মদ ইউনুসকে দিয়ে যা করানোর দরকার ছিল মার্কিনীদের তা তারা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। বাকিটুকু এমনিতেই করে দেবে বাংলাদেশের বর্তমান ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট।
ইউনুসকে আর খুব একটা দরকার নেই সম্ভবত মার্কিনীদের। তার ওপর অনেকটা আস্থা হারিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার থেকে যা নেওয়ার তা শেষ হয়েছে। এখন ইউনুস তাদের কাছে অনেকটা অপাক্তেয় হয়ে উঠেছেন।
এমনও হতে পারে এই নোবেল লরিয়েট ইউনুসকে ছুঁড়ে ফেলতে সময় লাগবে না মার্কিনীদের। আর সম্ভবত: এর অনেকটাই টের পেয়েছেন ঝানু সুদের কারবারি প্লাস ষড়যন্ত্র পটিয়সী রাজনীতিবিদ চট্টগ্রামের সোনা ব্যবসায়ী প্রয়াত হাজী দুলা মিয়া সওদাগরের পুত্র ইউনুস। হয়তো সেজন্যই তিনি বিএনপিকে কাছে টানতে চাইছেন , আর আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দেয়ার কথা বলছেন।
অথচ এই ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের নুন্যতম ‘অংশীদার’ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের বিপক্ষে মাঠে নামছে! এমনকি ইউনুসের ‘নিজের দল’ এনসিপিও নির্বাচনের তীব্র বিরোধী।
এনসিপি’র নেপথ্য কারিগররা নির্বাচনবিরোধী। আবার বিএনপির চাপে নির্বাচনের মাস ঘোষনা করতে হয়েছে ইউনূসকে। এরই মধ্যে তারেক রহমানকে নিয়ে ইউনুস-ওয়াকার দ্বন্দ বেশ ‘কড়া গিট্টু’ লেগেছে।
সেক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে – “তারেক জিয়া প্রধানমন্ত্রী- মুহম্মদ ইউনূস প্রেসিডেন্ট ” এমন সহজ-সরল সমীকরণ হয়তো নাও হতে পারে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি আসতে আসতে মাঝখানে কমপক্ষে ৬ টি মাস পার করতে হবে।
এরমধ্যে দেশের রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার বিষয়। কারণ সবই হচ্ছে স্বার্থের খেলা। স্বার্থের রাজনীতি। এ খেলা-রাজনীতিতে দেশপ্রেম নেই। মানুষ বাঁচলো কি মরলো তা দেখবেনা কেউ। ক্ষমতা-অর্থ-সম্পদই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর আপাতত: নির্বাসিত আওয়ামীলীগ সভানেত্রীসহ দলের অধিকাংশ নেতা কারাগারে ও দেশের বাইরে পলাতক থাকলেও জঙ্গী-প্রতারক ইউনুসীয় সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে দেশের মানুষ অনেক আগে থেকেই বলতে শুরু করেছে ‘ আগেই ভালো ছিলাম’, ‘ আওয়ামীলীগই ভালো চালাচ্ছিল দেশ’.. ইত্যাদি।
তবে সামনের দিনগুলো অতিশীঘ্র খুব যে একটা সুখকর হবে এমনটি বলার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেউ। তবে রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। এখন বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে তাদের মধ্যে আবার নানা ‘স্বার্থের ঐক্য’ও হতে পারে।
তবে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে যা অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকও আগাম ধারণা করতে পারছেন না।
# নুরুল ইসলাম আনসারি। লেখক, প্রাবন্ধিক।