সিলেট: সরকার, প্রশাসন কী পুতুল নাকি অন্ধ? প্রশাসন এর নাকের ডগায় চোরা কারবার চলছে, তারপরও প্রশাসন নীরব ভূমিকায়। কী বলা যাবে? কীভাবে ঠেকাবে তার কোনো উদ্যোগ নেই!
প্রতিদিন প্রতিবাদ করে দেশ বাঁচানো যায়? এই সরকার যদি চোখে কালো পট্টি বেঁধে রেখে দেয়! আজ আবারও একই নাটক নতুনভাবে শুরু হয়েছে—”বজ্র আঁটুনি, ফস্কা গেরো”।
জৈন্তাপুর উপজেলার ‘রাংপানি’ পর্যটনকেন্দ্রে চলছে দেদার পাথর লুট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লুটেরাদের সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘অসৎ’ লোকজন জড়িত। রাজনীতিবিদ জড়িত না থাকলে তো আর চোরাই কাজ হয় না!
গত বছরের ৫ অগাস্টের পর থেকে সেখানে বেড়েছে লুটপাট। বর্তমানে সীমান্তের ওপারে গিয়ে শ্রমিকেরা পাথর তুলে নিয়ে আসছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মদদে এই লুটপাট চলছে।
তবে কারা জড়িত তার কোনো হদিস নেই সরকার, প্রশাসনের হাতে।
ভোলাগঞ্জ ও বিছানাকান্দির পরে এবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা রাংপানিতে যা একসময় শ্রীপুর নামে পরিচিত ছিল-এখন দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে এখান থেকে পাথর চুরি হয়ে যাচ্ছে।
রাংপানি ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জল,পাহাড়ি ঝর্ণা,টিলা,নদী ও প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের জন্য বিখ্যাত।
সাদা পাথরখেকো চক্রের শত শত শ্রমিক পাহাড় কেটে নদী থেকে পাথর তুলে নৌকায় ভরে পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, রাংপানিতে সাধারণ পাথরের পাশাপাশি লালচে আভাযুক্ত বিশেষ আকৃতির পাথর পাওয়া যায় যাকে স্থানীয়রা রাঙা পাথর বলে।সেগুলিও ব্যাপক হারে লুট করা হচ্ছে।
ভোলাগঞ্জ ও জাফলংয়ের মতোই দিনেরাতে লুট হচ্ছে এইগুলো।পাথর লুটের ঘটনায় বিবর্ণ রূপ এখন রাংপানি।
প্রশাসনের নীরবতায় শাবল, কোদালের আঘাতে বিধ্বস্থ হয়েছে রাংপানি। গর্তের পর গর্ত রাংপানির টিলার পাদদেশ জুড়ে।
এই রাংপানি নদীর ৪টি এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করে সৌন্দর্যের বারোটা বাজিয়েছে পাথরখেকোরা। রাংপানি ছাড়াও নদীঘেষা এলাকাগুলোর আরো ৪টি পয়েন্ট রয়েছে-শ্রীপুর কোয়ারি, আদর্শগ্রাম, খড়মপুর ও বাংলাবাজার ঘাট থেকে পাথর উত্তোলন করা হয়।
চিকেন নেকের মতো কঠিন যাতায়াতের এই জায়গায় পাথরখেকোরা পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, সাধারণ পর্যটক যেখানে বিজিবির বাধায় সহজে প্রবেশ করতে পারেন না, সেখানে দিনের আলোয়, সবার চোখের সামনে চলছে নির্বিচারে পাথর চুরি!