টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কির সন্দেশ ভৌগোলিক নির্দেশক-জিআই সনদ পেয়েছে। জেলার লোকজনের আনন্দের অন্ত নেই এতে।

এ সন্দেশের ঐতিহ্য ধরে রাখার কারণে বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের কাছ থেকে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক জিআই সনদ গ্রহণ করেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে জামুর্কিতে কালিদাস মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে শতবর্ষ ধরে তৈরি হচ্ছে এই মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য। গুণগত মানের কারণেই সারাদেশে এর সুনাম আছে। ভোর থেকে দোকান খালি যায় না। টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ আসেন সন্দেশ কিনতে।

ভীষণ ভালো লাগার খবর! টাঙ্গাইল জামুর্কীর কালিদাসের বানানো এই সন্দেশ “জামুর্কীর সন্দেশ” হিসেবে পরিচিত। সেই সন্দেশ ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ সনদ দেওয়া হয়। এতে খুশি সন্দেশের কারিগর ও স্থানীয়রা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের কাছ থেকে সন্দেশের জিআই নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক।

মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কীতে প্রথমে সন্দেশের ব্যবসা শুরু করেন কালিদাস নামের এক ব্যক্তি। এই সন্দেশ স্থানীয়ভাবে ‌‘কালিদাসের সন্দেশ’ হিসেবে প্রসিদ্ধ লাভ করে। গুণগতমান বজায় রাখায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এই সন্দেশের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ভারতের কলকাতাসহ উপমহাদেশে। প্রায় শত বছর ধরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে এই সন্দেশ।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার জামুর্কী এলাকায় অবস্থিত এই সন্দেশের দোকান। মহাসড়কের পাশে হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ খুব সহজেই বিশেষ স্বাদের এই সন্দেশ কিনতে পারেন।

কালিদাসের সন্দেশের দোকানটি পরিচালনা করেন কালিদাসের নাতি সমর সাহা। এরআগে তাঁর বাবা দোকানটি পরিচালনা করতেন। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সন্দেশ ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে।

পাকুল্যা গ্রামের বাসিন্দা তপন কুমার শেঠ বলেন, আমাদের এলাকার পণ্য জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *