চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে কিছুদিন আগে জাহাজ জট তৈরি হয়েছিল। সেই জাহাজ জট সামাল দিতে গিয়ে বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজের বার্থিং বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। যথারীতি বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনার বেড়ে গেছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে ৩৫ থেকে ৩৮ হাজার কনটেইনার থাকে সেখানে এখন ৪৯ হাজার কনটেইনার রয়েছে।
২১ আগস্ট বাংলাদেশের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় শৃংখলা নতুন করে ব্যাঘাত দেখা দিয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনারবাহী জাহাজের অপেক্ষার সময় সফলভাবে হ্রাস করতে পারলেও—এই জট নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হরতাল নেই, অবরোধও নেই। কাস্টমস কিংবা বন্দর কর্মকর্তাদের বা কর্মচারীদের কোনো কর্মসূচি নেই। তারপরও বন্দরে অসময়ে কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে বন্দরে ইয়ার্ডে প্রায় অর্ধ লাখ টিইইউসের (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কাছাকাছি কনটেইনার জমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অপারেশনাল কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মোট ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস হলেও নিরাপদ চলাচলের জন্য ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখতে হয়।
আর এমনি স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ৩৭-৩৮ হাজার কনটেইনার মজুত থাকে। বর্তমানে জমে থাকা কনটেইনারের পরিমাণ স্বাভাবিক সীমার অনেক বেশি।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, জাহাজ থেকে কনটেইনার নামার পরদিনের মধ্যেই সেগুলো অফডকে নিয়ে যেতে হবে। এতদিন চার দিন পর্যন্ত বিনা শুল্কে বন্দরে কনটেইনার রাখা যেত, যা আমদানিকারক ও সংস্থাগুলো ব্যবহার করত।
এনবিআরের মতে, এই সুযোগই বন্দরে জট তৈরির অন্যতম কারণ। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস জানিয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতি বা সক্ষমতার ঘাটতি থাকলে কমিশনার ডুয়েল ডেলিভারির অনুমতি দিতে পারবেন।