ঢাকা: ভরা মৌসুমেও পদ্মা নদীতে চলছে ইলিশ মাছের খরা। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ।

জেলেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। দি‌নের পর দিন অপেক্ষা ক‌রেও জেলেরা ই‌লিশ না পে‌য়ে ফিরছেন শূন্য হাতে।

স্থানীয়রা জানান,ভাদ্র মা‌সের শুরু‌তেই পদ্মায় পানি বেড়েছে ভালোই। কিন্তু ইলিশ মাছ আগের মতো ধরা পড়ছে না। যা পাওয়া যায় তা আকারে ছোট। মাঝে মাঝে যদিও বড় কিছু মাছ পাওয়া যায়। তাও খুব অল্প।

এর ফলে বাজারে ইলিশের দাম বেশি আকাশছোঁয়া। যা সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।

জালে মাছ কম ধরা পড়ার কারণে বাজারেও কমছে না দাম। জানা গেছে, চট্টগ্রামের আড়তে এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের মেঘনা নদীতে মৌসুমের আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও প্রত্যাশিত ইলিশ মিলছে না।

এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশ পাওয়াই যাচ্ছে না এখন।

উল্লেখযোগ্য যে, প্রতিবছর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়টাকে ইলিশের মৌসুম ধরা হয়। এই সময়ে নদীতে জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ ওঠার কথা থাকলেও এ বছর ইলিশের খরা।

ক্রেতারা বলছেন, ইলিশের দাম বাড়তে বাড়তে এখন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে “স্বপ্নের ইলিশ” স্বপ্নই থেকে যাবে। খাওয়া আর হবে না।

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সদরপুর উপজেলার দিয়ারা নারিকেলবাড়িয়া, ঢেউখালী, আকোটের চর, চর নাসিরপুর ইউনিয়নে প্রায় সাত হাজার মানুষ ইলিশ শিকারেই জীবিকা নির্বাহ করেন। ইলিশেই জীবন নির্বাহ।

এর মধ্যে কার্ডধারী জেলে আছেন প্রায় ৬৫০ জন।

পদ্মায় মাছ ধরতে আসা জেলে জাহিদ শেখ বলছেন, কয়েকদিন ধরে নদীতে যাচ্ছি, কিন্তু জাল খালি নিয়েই ফিরতে হচ্ছে। ৬-৭ জন মিলে যে কয়টা মাছ পাই, সেগুলো বিক্রি করে তেলের খরচও ওঠে না।

ফলে এখন সবার মন খারাপ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *