ঢাকা: সমুদ্রের পানি শেষ হবে কিন্তু রাজাকার জামায়াতে ইসলামীর কাহিনী শেষ হবে না। এরা নিজেদের এত শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার চেষ্টা করে।

এদের নিজেদের ব্যাংক আছে কিন্তু নিজেদের একাউন্ট নেই।তাদের ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে জনগণকে উৎসাহ দেয় শরিয়া ভিওিক ব্যাংক বলে।

অথচ নিজেদের একাউন্ট নেই মানে এটা অবৈধ টাকা হিসাবে গণ্য হবে কি? যেহেতু সরকার এর থেকো কোন প্রকার ট্যাক্স পায়নি। এগুলো কালো টাকা হিসাবে গণ্য হওয়া উচিত।

এরা তো আবার চাঁদাবাজি করে না, হাদিয়া নেয়! অদ্ভুত সমাচার।

এদের কেন ব্যাংক একাউন্ট নেই সেই সাফাই দিচ্ছে! রাজাকারদের সাফাই রাজাকাররাই গ্রহণ করবে!

জামাত-শিবির গোপনে ধান্ধাবাজি চাঁদাবাজি সরকারি অফিস দখল করে, ভালোই ইনকাম করছে। এজন্যই তো তারা নির্বাচন চায় না।

নিবন্ধন বাতিলের সময় গত ১৫ বছর ‘প্রতিকূল পরিবেশে’ থাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে পারেনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আগামী বছর দলের অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেখিয়ে আয়-ব্যয় বিবরণী দাখিল করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে যাবো কেন? খুলতে যদি যেতাম আয়নাঘরে ঢুকতে হতো।

সে কারণে যে রিটার্নটা আমরা এখন দিয়েছি সেখানে ব্যাংকের তথ্যের উল্লেখ নেই। সামনে আগামী রিটার্নের সময় অবশ্যই পরিবেশ অনুকূল থাকলে আমরা এটা করবো।

২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছর তারা নিবন্ধন ফিরে পায়। সেই বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক যুগ পর ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে দলটি।

দেখা গেলো, ইসিতে জমা দেওয়া ২০২৪ সালে আয় ও ব্যয় সব থেকে বেশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর।

আয় ও ব্যয়ের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

ইসিতে জমা দেওয়া দলগুলোর অডিট রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইসিতে জমা দেওয়া অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী জামায়াত ২০২৪ সালে আয় করেছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা। আর ব্যয় করেছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।

জামায়াত বলছে, কর্মীদের চাঁদা থেকে তারা আয় করেছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। আর কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে গিয়েই তাদের সবচেয়ে বেশি, সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

বাৎসরিক আয় ব্যয়ের যে হিসাব দেখিয়েছে সেখানে, কর্মীদের বেতন ভাতা বাবদ ব্যয় দেখিয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা! জামাতের কর্মীরা কি বেতনভুক্ত?

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের দল নিবন্ধন বিধি অনুযায়ী, প্রত্যেকটি দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম থাকতেই হবে।

তবে এবার অডিট রিপোর্ট জমা দিলেও জামায়াতের লেনদেনের তথ্যে কোন ব্যাংক ও কোন অ্যাকাউন্ট নম্বরে হয়েছে তা উল্লেখ ছিল না।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বেশ গলা চড়িয়ে বলেন, কেন এর জবাবটা আপনিই দেন, আমরা ১৫ বছর কোথায় ছিলাম?

এ নেতার ভাষ্য, হিসাব পদ্ধতিতে যদি যান আমার বাবা-দাদার আমলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কত জনের ছিল? কোটি কোটি টাকার লেনদেন তো হয় দোকানগুলোয়। এখনও বাংলাদেশের একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ আছে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।

হিসাবের যদি সিস্টেম আনেন যার যার মতো হিসাব রাখতে পারে। ইলেকশন কমিশনও তার কোনো শর্ত আরোপ করে না যে ব্যাংক হিসাব খুলেই দলের হিসাব রাখতে হবে। এটা আমার দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *