ঢাকা: পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব, দেশকে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন ডঃ ইউনুস।

পাকিস্তান বিশ্ব ভিখারি একটা রাষ্ট্র, এই ভিখারি শুধু বাংলাদেশে জঙ্গি রপ্তানি করতে সক্ষম।

ডঃ ইউনুস মুক্তি যুদ্ধ অপমান করে ইতিহাসের খাতায় রাজাকার হয়ে গেছেন।

৭১ অপমান করে পাকিস্তান ধরেছেন!

পাকিস্তানি পত্রিকা ভয়াবহ প্রতিবেদন করেছে! সেখানে কী আছে আগে একটু দেখে নেয়া দরকার।

গত ১৬ আগস্ট পাকিস্তানের এক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার দিনটিকে স্মরণ করে বলা হয়েছে—

“এই দিনে গাদ্দার মুজিবকে সরিয়ে দিতে আমরা সফল হয়েছিলাম। পাকিস্তানকে দুই টুকরো করে দেওয়া সেই গাদ্দারকে শেষ করা ছিল ইতিহাসের ন্যায়বিচার।”

প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ছিল—তাদেরকে “দেশপ্রেমিক বীর” বলা হয়েছে।

তারা দাবি করেছে, গত ৫৪ বছর ধরে “সত্যিকারের পাকিস্তানপ্রেমী” লোকজন দুই পাকিস্তানকে এক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর নেতৃত্বে ছিল গোলাম আযম, আর এখন সেই মিশন চালিয়ে যাচ্ছে তার ছেলে আমান আজমি।

তাদের ভাষায়, শেখ হাসিনা অসংখ্য “দেশভক্ত পাকিস্তানি সন্তানদের” হত্যা করেছে—যাদের একমাত্র অপরাধ ছিল পাকিস্তানকে ভালোবাসা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—

এখন যেহেতু “গাদ্দার মুজিব” নেই, তার মেয়ে হাসিনাও নেই, তাই বাংলাদেশের (পূর্ব পাকিস্তান) উচিত দ্রুত পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়া।

এমন ভয়াবহ, রাষ্ট্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও—বাংলাদেশের সরকার এখনও কোনো প্রতিবাদ জানায়নি।

প্রতিবাদ কেন করেনি? করবে কীভাবে? জঙ্গী ইউনূস তো এখন শর্টকাটে আরো জঙ্গী আমদানির পথ খোলা করছেন। পাকিস্তানি বীজ সরাসরি আমদানি করার ব্যবস্থা করছেন।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।

শুক্রবার চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছেন, বিমান যোগাযোগ চালু হলে দুই দেশের মানুষে মানুষে সম্পর্ক, ব্যবসায়িক সংযোগ ও পণ্য পরিবহন আরো সহজ হবে।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে আগ্রাবাদ বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

এতে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রবল আগ্রহ রয়েছে। তবে বিমান সংযোগ না থাকলে এটি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।

তাই এ বছরের শেষ নাগাদ পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে সরাসরি ফ্লাইট চালুর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *