ঢাকা: পাকিস্তানি আর বাংলাদেশের রাজাকার এখন মিলেমিশে একাকার। ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশের।

৫ আগস্টের একদম পর পরই একটু আড়ালে আবডালে ছিলো পাকিস্তান, কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখন একদম কোনো ধরাবাঁধা ছাড়াই খুল্লমখুল্লা বাংলাদেশের সাথে পীরিতি চালিয়ে যাচ্ছে!

সরাসরি তাদের বিমান চাই, আবার বাংলাদেশকে এরা নাকি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে!

পাকিস্তান আমাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা দেবে, এটা কি হাস্যকর লাগে না ? যাদের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই, যাদের সারা পৃথিবীর সভ্য দেশগুলো ঘৃণা করে জঙ্গী চাষের জন্যে তারা কিনা বাংলাদেশকে সহায়তা করবে!

অবশ্য এই সময়টার জন্যেই অপেক্ষা করছিলো একাত্তরের পরাজিত শক্তি। সুযোগ পাবো আর ঢুকে পড়বো, বাংলাদেশে এখন জঙ্গী চাষের উর্বর জমি তাই হাতছাড়া করতে নারাজ পাকিস্তান। এবং মদত দিয়ে যাচ্ছেন একজন সুদী মহাজন‌ ইউনূস।

যারা প্রতিরক্ষার জন্য আমেরিকা-চীনের দয়ার উপর নির্ভরশীল, যাদের বাজেটের একটা অংশ যায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গড়ে তুলতে তাদের কাছে বাংলাদেশ কি শিখবে?

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বারবার পাকিস্তান সফর আসলে প্রতিরক্ষা-নিরাপত্তার জন্য নয়।

সত্যিই যদি নিরাপত্তা হতো লক্ষ্য, তাহলে এসব সফর হতো আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, বৃটেন, ফ্রান্স,জার্মানি বা ইতালির মতো শক্তিশালী ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশে।

এইসব সফর আসলে বাংলাদেশকে আবার পূর্বপাকিস্তানের ছায়ায় টেনে নেওয়া এবং ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। যারা সারাবিশ্বে শুধু জঙ্গি আর সন্ত্রাস রপ্তানি করে, তাদের কাছ থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার আশা করাটা নিছক ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়।

বাংলাদেশ তো এখন তাই চায়। ইউনূস বসেছেন এই কারণেই।

এবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম. তৌহিদ হোসেন ও ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের মধ্যে বৈঠক হোটেল সোনারগাঁও-এ আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) শুরু হয়েছে।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো পরিসর ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক আলোচনা করার, সমাধান করার যোগ্যতা তাদের আছে? না থাকলেও রাষ্ট্রকে অস্থিতীশীল করার, জঙ্গী আমদানি করার ক্ষমতা তাদের আছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে তিনদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ইসহাক দার। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *