ঢাকা: অভিনয়ের শহরে সত্যিকারের মুখ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের ওপর দেওয়া শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার করেছে। এর ফলে তিনি পুনরায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত ১৭ জুন ‘নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগে’ সারোয়ার তুষারের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিল এনসিপি। পরে তিনি দলের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে লিখিত জবাব জমা দেন।

জবাব বিশ্লেষণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া ফোনালাপসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর এনসিপি তাকে দুই মাস সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল।

এ সময়ে তিনি জুলাই পদযাত্রা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলের প্রতিনিধিত্ব, গণমাধ্যমে দলের অবস্থান উপস্থাপন এবং নরসিংদীতে পদযাত্রাসহ কার্যক্রমগুলোতে অংশ নেননি।

দুই মাসের সাংগঠনিক বিরতি শেষে সারোয়ার তুষারকে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেয় এনসিপি। এর মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শোকজ নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এই টোকাইরা যত অভিযোগ আসুক, শৃঙ্খলা ভঙ্গ হোক, দল কর্মীর বা নেতার সমর্থন করে পাশে থাকবেই। নাহলে আবার যদি ষড়যন্ত্র, চাঁদাবাজির আরো খবর ফাঁস হয়ে যায়!

কয়দিন আগে ৫ জুলাই কক্সবাজার যাওয়ায় ৫ জনকে শোকজ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। যা গত ১৬ আগস্ট আবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

শোকজ করে নাটক করে লোক দেখিয়েও তো কোনো লাভ নেই এই জঙ্গীদের। কারণ জনগণ তো তাদের পক্ষে নেই।

জুলাই নিয়ে যদি এতো প্রতিবাদ জানানোর ছিলো, তাহলে ওই দিন কক্সবাজার না গিয়ে হাসপাতালে থাকা জুলাই যোদ্ধাদের কাছে যেতেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। কোনো উপদেষ্টাও ওই দিন জুলাইয়ে আহত যোদ্ধাদের দেখতে গেছেন বলে শুনিনি।

এগুলো করে কি জাতিকে সাময়িক বোকা বানানো হলো?

এর আগে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে নৈতিক স্থলনজনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তা কেন সবাই জানেন। প্রসঙ্গ নীলা আশরাফী। সেই বিষয়টি কারোই অজানা নয়। তারপরও প্রত্যাহার করে নেওয়ার হলো সারোয়ার তুষারের নোটিশ।

প্রত্যাহার চিঠিতে বলা হয়েছে- সার্বিক ঘটনা, লিখিত জবাব ও আলামত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে দুই মাস সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার পর সারোয়ার তুষারকে পুনরায় সাংগঠনিক সকল কর্মকাণ্ডে পুনর্বহাল করার মাধ্যমে ২৩ আগস্ট কারণ দর্শানোর নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়।

তারমানে কি দাঁড়ালো, দলটির যে যাই করুক, তাতে কিছু হয় না। শুধু আই ওয়াস করতে নোটিশ। পরে তা প্রত্যাহার।

কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে সেটি তদন্ত কিংবা তার বিপক্ষে না গিয়ে দলের অন্যরা সেটির পক্ষে এতোটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে এতো চমৎকার যুক্তি তুলে ধরেন, সত্যিই দেশবাসী তাদের এসবে মুগ্ধ, বড় ফ্যান।

বলতেই হয়, এমন দলটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *