ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন কাছে আসছে, আর এদের ধাক্কাধাক্কি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
হুলুস্থুল পরিবেশ আজ। বিএনপির নেত্রী ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ কখনোই করেনি, আজ এনসিপি সেটা করে দেখিয়েছে।
এদিকে জঙ্গী সারজিস আলম সবেতেই আওয়ামী লীগের ছায়া দেখেন। আওয়ামী লীগকে এই সন্ত্রাসীদের এত ভয়!
বিএনপির বিরুদ্ধে কিছু হলে মিনিট না যেতেই তার পেজে পোস্ট চলে আসে। অথচ নিজের দলের ভুল নিয়ে কোনো কথা নেই। একটা কথাও সে বলে না আসিফের চাঁদাবাজি নিয়ে, আরো আরো হাজার অপকর্ম নিয়ে। নিজের ভুল তো বলবেনই না।
আজ বড় নেতা সেজে সব জায়গায় ঘুরছেন, টাকা কামাচ্ছেন। তাই নির্বাচন এলে ভয়—সব হারাতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসন নিয়ে ইসিতে শুনানিকালে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম প্রশ্ন তুলেছেন, বিএনপি কি আওয়ামী লীগের চরিত্রে ফিরতে চায়।
আগেই বলেছি, এই জঙ্গী সবেতেই আওয়ামী লীগের ছায়া দেখে। তবে আওয়ামী লীগ টোকাই এনসিপি না। দুইদিনের ভুঁইফোড় দল না। রীতিমতো মাটিতে জন্ম নেয়া একটি দল।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে এ বিষয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘একদিকে জনাব রুমিন ফারহানার পোষ্য কর্মীরা এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে শারীরিকভাবে আঘাত করছে আর অন্যদিকে জনাব রুমিন ফারহানা গাল মুখ ফুলিয়ে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও আইনজীবী ভাব নিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে দেখেও না দেখার ভান করছে।’
তিনি বলেন, ‘টকশোতে বড় বড় সুশীলতা দেখানো যায়, লেকচার দেওয়া যায়। কাজ দিয়ে প্রকাশ পায়-কে সুযোগ পেলে আবার আগের পথে হাঁটবে আর কে সংশোধন হবে।’
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানার কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন দাবি করে বলেন, ‘তার (আতাউল্লাহ) অপরাধ শুধু সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরোধিতা করে আপিল করা।’
‘বিএনপি কি আওয়ামী লীগের চরিত্র ফিরতে চায়? জোর যার মুলুক তার বানাতে চায়? এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।’
‘ইসির ভেতরেই একজন শীর্ষ নেতার নিরাপত্তা যদি নিশ্চিত না করা যায় তাহলে এই অথর্ব ইসি কীভাবে সারা বাংলাদেশে অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? সুষ্ঠু ভোট সম্পন্ন করবে?’