ঢাকা: প্রথমে গ্রেপ্তার হলেন বাবা। এবার ছেলে। অন্তর্বর্তী সরকারকে যে তেল দিয়ে থাকতে না পারবে সেই গ্রেপ্তার হবে।

এই বাবা ছেলেকে জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে থাকার দোহাই দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ এরা প্রকাশ্যেই জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিল, তবুও ইনটেরিমের বিধ্বংসী থাবা থেকে রেহায় পায়নি।

জানা গিয়েছে, যতদিন মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী চাঁদা দিয়ে গিয়েছেন ততদিন কোনো ঝামেলা হয়নি।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জানা গিয়েছে আফ্রিদির বাবা অন্তত ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছেন।

এসব চাঁদা কখনো বিএনপি, কখনো এনসিপি, কখনো জামাত নিয়েছে। যতদিন দিয়ে আসছেন ততদিন কোন ঝামেলা হয়নাই।

এমনকি ঢাবি শিবিরের সেক্রেটারি ফরহাদ পর্যন্ত আফ্রিদির বাবার সাথে দেখা করেছে ৫ আগস্টের পর এমনটাও খবর আছে।

তবে যখন আর দিতে চাননি, তখনই ঝামেলা শুরু হয়। তাদেরকে নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়।

আর এই তৌহিদ আফ্রিদি জুলাই আন্দোলনের পক্ষে ছিল। তার ফেসবুক পোস্ট দেখলেই সেটা বোঝা যায়।

জুলাই মাসে ছাত্রলীগের অনেকে তাকে বেঈমান বলেও পোস্ট দিয়েছিল। কারণ আফ্রিদির ফ্যামিলি রাজনীতি না করলেও আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ ছিল। এটাই পরবর্তীতে তাদের একমাত্র অপরাধ হয়ে দাড়ায়।

আপনাকে অপদস্থ করার এই আমলে একমাত্র উপায় হচ্ছে ট্যাগিং করা। কিছুতেই যখন পারে না তখন আওয়ামী লীগের দোসর বলে অপরাধী করা হয়। তখন তিনি চুপ হয়ে যান।

এবং এই ফিলোসোফিই আফ্রিদির পরিবারের সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠতাকে দূর্বলতা হিসেবে ব্যবহার করেছে ক্ষমতাসীন দলগুলো।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দায়ের করা হত্যা মামলায় বরিশালে গ্রেপ্তার করা হয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে।

জুলাই অভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় রোববার তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল মহানগরের নগরের বাংলা বাজার এলাকার একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্রের পাশের এলাকার একটি বাড়ি থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তবে অন্তর্বর্তী সরকার খুব ভালোমতো জানে এইসব অপরাধের সাথে তৌহিদ জড়িত নন। তবুও গায়েরজোড় আর ক্ষমতার প্রভাবের কাছে সবাইকে অসহায় বানিয়েছে সরকার।

এসব হয়ে আসছে বিগত এক বছর ধরে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *