ঢাকা: ফজলুর রহমান বরাবর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা।
জনাব ফজলুর রহমান এর মুখে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের পক্ষে যেমন কোন কথা শোনা যায়নি তেমনই বিএনপির বিপক্ষেও কোন কথা নয়।
তিনি সবসময় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, ৭১ ও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এবং রাজাকারদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
৭১ এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক। তাঁকে শোকজের মাধ্যমে বিএনপি এটাই প্রমাণ করল যে তারা স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি না।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কথা বলেন। তাই এটা বিএনপি পছন্দ করে না, তাই ফজলুর রহমানকে শোকজ করেছে বিএনপি!
বিএনপি উল্টো পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। ফজলুর রহমানের ছবিতে শিবির, এনসিপি জুতা পেটা করছে। বিএনপির কোন প্রতিবাদ নেই!
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের ধারণ করেনা। অথচ বিএনপি দাবি করে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি!
ফজলুর রহমান ভুলে গিয়েছিলেন তিনি যে পাত্রে আছেন সেই পাত্রটা ফুঁটো। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললে সেটা গড়িয়ে পড়বে। তিনি বলেই গেছেন। এবং বিএনপি সেটা খুব ভালোভাবে নোটিশ করেছে।
রাজাকার বিএনপি তো ৭১ এর দল নয়। এরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সেটা তো কারো অজানা নয়। অথচ ফজলুর রহমান ছিলেন এই বিএনপিতেই! আশ্চর্য!
ফজলুর রহমানের মুখে জুতার বারি পড়বে না তো একজন রাজাকারের মুখে পড়বে?
ফজলুর রহমান যেগুলো কথা বলেছেন, ভুল বলেননি। আবার ভুল বলেছেন। বিএনপিতে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ কেউ নেই।
‘কালো কে তো কালো বলতেই হবে। ৫ ই আগস্ট যারা ঘটাইছে তাদের উদ্দেশ্য যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা এটা জানলে আমি কখনোই এদেরকে সমর্থন দিতাম না। আমার ধারণা বিএনপির ৯০% স্বাধীনতার পক্ষের মানুষই এদের সমর্থন দিতো না’।
মুক্তিযুদ্ধকে একমাত্র ধারণ করে আওয়ামী লীগ। প্রমাণ আর কত চান ফজলুর রহমান।
ছবিতে জুতাপেটা করা হয়েছে। এমন লাঞ্ছনার জন্য তিনি নিজেই দায়ী, যে দলে সাকা চৌধুরীর মতো রাজাকার থাকে সেখানেই তিনি গেছেন, আহা আফসোস।
আসলে জুতা আর কেউ মারেনি নিজের দলের লোকেরাই মেরেছে।যাদের সাথে গলা মিলিয়ে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলেছিলেন।
একজন মুক্তিযোদ্ধার অপমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকেরা ব্যথিত।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কথা বলার জন্য এই বয়সে এসে বিএনপি তাঁকে শোকজ করলো। এর থেকে লজ্জা, অপমানের আর কী আছে!
একদিকে খালেদা জিয়া পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন আরেক দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা খায় শোকজ! লজ্জা!
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল এটা যে বিশ্বাস করবে তিনি এখনও মায়ের গর্ভে রয়ে গেছেন। অথবা রাজনীতি বুঝেন না অথবা রাজনীতিকে ভাসাভাসা দৃশ্যে দেখেন।
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে ‘কালো শক্তি’ ও অভ্যুত্থানকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলায় কিশোরগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়েছে।
‘সাধারণ ছাত্র-জনতা’-এর ব্যানারে রবিবার সন্ধ্যার দিকে শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ মাঠে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- সদ্য বিলুপ্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স, যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল নাহিদ ভূঁইয়া প্রমুখ।
২০২৪ সালের ষড়যন্ত্র নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।