ঢাকা: গণতন্ত্রকে পুড়িয়ে মারার পাঁয়তারা করছে জামাতের মদদপুষ্ট ইউনুস নাহিদ আসিফ সরকার।

শত রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সাধারণ জনগণ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অন্যদিকে নব্য দখলদার ইউনুস সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে বাংলাদেশকে একটা অস্তিত্বহীন পাকিস্তান বানাতে চায়।

২০০১-২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে জাতিকে অপমানের বোঝা দিয়ে গেছে।

আর বিগত এক বছরে ইউনূস সহ অবৈধ উপদেষ্টা পরিষদের দুর্নীতির প্রমাণ এবং অভিযোগ এত বেশি প্রকাশ্যে এসেছে, যা পূর্বের বিএনপি-জামায়াত জোটের দুর্নীতি রেকর্ডকেও ভেঙে দিতে পারে৷

এক বছরে ইউনূস গোটা দেশটাকে নরক বানিয়েছেন। আজ পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলার সাহস পেয়েছে যে বাংলাদেশিদের দিল পরিষ্কার করতে হবে। আর এই কথা উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টারা মাথা পেতে গ্রহণ করেছে।

মা বোনদের ধর্ষণকারীদের এই ইউনূসের সাঙ্গোপাঙ্গোরা, খোদ ইউনূস বুকে জড়িয়ে ধরেছে। এই দৃশ্য দেখার বাকি ছিলো?

বর্তমান সময়ে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সহ অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের চাঁদাবাজি, লুটতরাজে অতিষ্ট দেশের জনগণ।

এই নৈরাজ্য থেকে জাতি মুক্তি চায়, এবং রীতিমতো প্রতিবাদ করছে।

শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ভয় ও নৈরাজ্যের পরিবেশে আচ্ছন্ন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অসাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে দেশকে আরও সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে যে, ইউনূস দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, তবে কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে তা ব্যাখ্যা করা এড়িয়ে গেছেন।

তার শিশুসুলভ আচরণ প্রকাশ করে বোঝাতে চান যে তিনি নিষ্পাপ।

১৫ আগস্ট, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে এই রাজাকাররা ধানমণ্ডি ৩২ দখল করে বসে থাকে।

এক রিকশাওয়ালা সারাদিনের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে ফুল কিনে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে তাকে মারধর করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে চাপের মুখে তাকে ছাড়তে হয়েছে। এই অত্যাচার চালাচ্ছে জামাত, বিএনপি, এনসিপির জঙ্গীরা দেশজুড়ে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ইউনূসের ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।

কারণ জনমনে ক্রমবর্ধমান এই মনোভাব যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে, পুরো নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ এবং বিশ্বাসযোগ্য হবে না।

আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন সাধারণ জনগণ মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, আমরা আওয়ামী লীগের আমলেই ভালো ছিলাম।

ইউনূস সরকারের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে সকল শ্রেণীর মানুষ কথা বলতে শুরু করেছে এখন।

এই বছরের ১৫ আগস্ট, সারা দেশে মিছিল বের করা হয়েছিল, তা যত ছোটই হোক না কেন, জয় বাংলা এবং জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডির স্মৃতিচারণ করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *