চট্টগ্রাম: স্কুলের মাঠ নিয়ে প্রায়ই ষড়যন্ত্রের খবর আসে। বাচ্চারা আজকাল খেলাধূলার জায়গা পায় না। লোভে লালসায় সব শেষ।
চট্টগ্রামে চার কোটি টাকায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ডা: খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ বিক্রী করে দেয়া খবরে টনক নড়েছে প্রশাসনের।
জালিয়াতির তথ্য উদঘাটনে এবার মাঠে নেমেছে দুদকের বিশেষ টিম। তবে দুদকের কাজেও ভরসা নেই জনগণের।
দুনীর্তি দমন কমিশন-দুদকের একটি টিম রবিবার ২৪ আগষ্ট অভিযান চালিয়েছে স্কুলটিতে।
ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় শতকোটি টাকা মূল্যের ১৫.৫ কাঠা জমি ২০০৬ সালে মাত্র ৩ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের ক্রয় ও নামজারির বিষয়টি সম্প্রতি একটি দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে, যেখানে অভিযোগ করা হচ্ছে যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল অবৈধভাবে এই সরকারি সম্পত্তি নামজারি করে দখল করার চেষ্টা করছে।
২০০৬ সালে এই মাঠটি এত কম দামে বিক্রি করা হয়েছিল এবং সম্প্রতি নামজারির জন্য আবেদন করা হলে বিষয়টি নজরে আসে।
স্কুলের পাশেই রয়েছে মাঠ । কত আকর্ষণ একটা মাঠে।
শিক্ষার্থীরা ছুটি শেষে মাঠে খেলা করে। স্কুলের অনুষ্ঠানগুলো এই মাঠেই আয়োজন করা হয়।
এখন ভূমিদস্যুদের নজরে পড়েছে মাঠটি। প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ক্ষেপেছেন এই ঘটনায়।
চট্টগ্রামে এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ক্ষোভ জানান।
উনিশ শতকের ব্রাহ্ম আন্দোলনের অন্যতম নেতা অন্নদাচরণ খাস্তগীর ১৮৭৮ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯০৭সালে স্কুলটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হিসাবে উন্নীত করা হয়। অন্নদাচরণের জামাতা, চট্টগ্রামের সামাজিক আন্দোলনের পথিকৃৎ যাত্রামোহন সেন বিদ্যালয়কে জমি ও ভবন দান করেন।
একই বছর স্কুলটি সরকারী করণ করা হয় এবং পরবর্তীতে বাংলা মাধ্যম স্কুল হিসাবে পাঠ্য কার্যক্রম শুরু করে।