ঢাকা: মিথ্যাবাদী স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এর আগে বলেছেন, ‘গত দশ মাসে কোনো একটি তথ্য দিতে পেরেছেন? আগে জঙ্গি ছিল আপনার তথ্য দিছেন, এখন নেই আপনারা দিতে পারেন না’!
তা হঠাৎ করে এখন যে আবার আসামি/ জঙ্গীর প্রসঙ্গ চলে এলো, এখন কী বলবেন তিনি? জঙ্গীদের তো জামিন দিয়ে দেয়া হয়েছে। কী বলবেন এখন তিনি?
এখন বলবেন কারা পরিদর্শক ভুল বলছেন।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন তো নিজেই স্বীকার করলেন, কারাগার থেকে পালানো বন্দীদের মধ্যে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছে।
এবং তিনি আরো জানান, লুট হওয়া ২৯টি অস্ত্রও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তা সম্ভব হয়নি কেন? সেকথা আর বলেননি!
প্রশাসন, সেনাবাহিনী, সরকার কী করছে? আর আসামিরা তো পলাতক না, তাদের রীতিমতো ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আবার বলা যায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে!
দেশের বেতনভুক্ত তিন বাহিনীর কিছু মীরজাফর রাজাকার পাকিস্তানিদের কাছে দেশপ্রেমকে সস্তায় বিক্রি করেছে।
প্রশ্ন জাগে—পাকিস্তান তাদের কী এমন দিয়েছে, যার বিনিময়ে তারা বারবার সেই দাসত্বের প্রেমে বিভোর হয়ে পড়ে? কেন তারা আসামিদের ধরতে সক্ষম নয়? অথচ মুক্তিযোদ্ধার গলায় মালা পরানো হচ্ছে, প্রতিবাদ নেই। জনগণকে অকাতরে গুলি করে মারছে সেনাবাহিনী!
তিন বাহিনীর বেতনভুক্ত মীরজাফররা দেশপ্রেমের পতাকা নামিয়ে পাকিস্তানের পায়ে রেখেছে। জঙ্গীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় দিচ্ছে!
হত্যাকারীদের উন্মুক্তকারী ইউনূসের অনুগ্রহ কতখানি হলে আজ এমন অবস্থা হয় দেশের!?
জুলাই দাঙ্গায় দেশের ৫টি কারাগারে হামলা করে প্রায় ২২৪০ জন আসামীকে পালাতে সাহায্য করে বৈছা সন্ত্রাসী আসিফ এবং নাহিদ।
উদ্দেশ্য- সরকার পতন না হলে সশস্ত্র গৃহযুদ্ধ, যেখানে এই জেল পলাতক দুর্ধর্ষ জঙ্গী আসামিরা সহায়তা এবং ট্রেনিং দেবে।
সরকার পতনের পর ইউনূস ক্ষমতা দখল করে ফিরে আসা ১৫২০ জন আসামির মধ্য থেকে ১১৩০ জনকেই দেয় জামিনে মুক্তি ।
জুলাই দাঙ্গায় লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র, চায়নিজ রাইফেল এবং শটগান উদ্ধার হয়নি এখনো।
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘পালানোদের মধ্যে ৯ জন জঙ্গি, ৬৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন।
বাকিরা বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। বর্তমানে কারাগারে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী আছেন ১৬৩ জন। আরো ২৮ জন ডিভিশনের আবেদন করেছেন, তবে তার অনুমোদন পাননি।’