ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাটপারের খপ্পরে বাংলাদেশ! এর আগে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।

বলা হয়, মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্রাজুয়েট প্লাস ভিসা’ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এদিকে, মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘গ্রাজুয়েট প্লাস ভিসা’ দেয়ার যে দাবি ইউনূস করেছেন সেটা সঠিক নয়।

শনিবার (২৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ড. জাম্ব্রি আবদুল কাদির বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের সময় এমন কোনো চুক্তি হয়নি, যা দেশটিকে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে বাধ্য করত।

এদিকে, মালয়েশিয়া গিয়ে বাংলাদেশিরা যেভাবে জঙ্গী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে, তাতে ক্ষিপ্ত মালয়েশিয়া।

এর আগে মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদবিরোধী এক অভিযানে আইএস মতাদর্শসম্পন্ন একটি বিদেশি জঙ্গিচক্র ভেঙে দিয়েছে দেশটির পুলিশ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেশটিতে বাংলাদেশিদের উপর কঠিন নজর রাখছে সে দেশের পুলিশ।

এবার জানা গেলো, মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কাজ করছেন ৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি। এ সংখ্যা দেশটির মোট বিদেশি শ্রমশক্তির ৩৭ শতাংশ।

সোমবার (২৫ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হাসান করিমের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য দেয়।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিটে কাজ করছেন ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৩২ জন বাংলাদেশি। তারা মূলত স্বল্পদক্ষ খাতে কর্মরত।

মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে জানায়, করোনার পর ২০২২ সালে আবার উন্মুক্ত হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সে বছর ৪৯ হাজার ৩৫৩ বাংলাদেশি দেশটিতে পাড়ি জমান।

পরের বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগে শিথিলতা আনা হলে আরও ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪৮ বাংলাদেশি প্রবেশ করেন।

তবে ২০২২ সালে ২০ হাজার ৩৩১ জন ও ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৬৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *