চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় নিয়ে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। এই পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র বা বিনোদন কেন্দ্র নয়।এই পাহাড় হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়া অন্যদের প্রবেশ নিষেধ।
এটা শুধুমাত্র পাহাড় নয়, এটা সম্পূর্ণ একটি তীর্থধাম। মহাদেবের এক নাম চন্দ্রশেখরের নামানুসারেই এই পাহাড়ের নাম হয়েছে চন্দ্রনাথ পাহাড়।
এই পাহাড়ের পাদদেশে বসে আছেন মা ভবানী এবং শিখরে বিরাজমান স্বয়ং চন্দ্রশেখর।
এই মহাতীর্থ নিয়েই চলছে ষড়যন্ত্র।
এই জায়গা ছাড়াও বাংলাদেশে আরো বহু জায়গা আছে মসজিদ বানানোর। কিন্তু মুসলমানরা মানতে নারাজ। অথচ মুখে মুখে বলে ‘আমরা হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই’!
আর এই অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু নিধনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সনাতনীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে একাকার করে ফেলছে।
এবার উপদেষ্টারা দিচ্ছেন সাফাই। এমন নির্দেশ হাস্যকর এবং প্রহসনমূলক।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সনাতন ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে ‘উসকানিমূলক’ কার্যক্রম দেখামাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা।
বুধবার সকালে ঢাকার রেলভবনে চন্দ্রনাথ ধাম (কাঞ্চননাথ-চন্দ্রনাথ-আদিনাথ) শ্রাইন কমিটির সঙ্গে বৈঠকের সময় তাৎক্ষণিকভাবে তারা এমন নির্দেশনা দিয়ে মাঠ প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সজাগ থাকতে বলেছেন।
বৈঠকের তথ্য জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শ্রাইন কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, “অন্য ধর্মের স্থাপনার ওপর আক্রমণকারী কোনোভাবেই ধার্মিক হতে পারে না। এটি অপরাধ। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের কোনো চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আহ্বান, আপনারা নায্য দাবি-দাওয়াগুলো মন্ত্রণালয়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বরাবর পাঠান, আমরা ব্যবস্থা নেব।”
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, “চন্দ্রনাথ মন্দিরের সঙ্গে ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়া কোনো উসকানিমূলক কার্যক্রম আমরা বরদাশত করব না। কোনো উসকানির চিহ্ন দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”