ঢাকা: এখন আসমান কাঁপে না ? শাহবাগে ইন্টারনেট বন্ধ করে বুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর ইউনূস বাহিনীর হামলা! প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইউনুস সরকারের পুলিশ।
আগে কোনো সামান্য ঘটনাতেই শেখ হাসিনার উপর দোষ চাপানো হতো। তো এখন তো শেখ হাসিনা নেই! শেখ হাসিনা ভালা না, ভালা লইয়্যা থাকো।
ডাক্তারদের উপর ক্রমাগত হাত তুলতে তুলতে বদঅভ্যাস হয়ে গেছে পুলিশের আজকে BUET এর শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে।
দেশ ও জাতির অগ্রগতীর জন্য ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার সমাজকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাদের দাবিগুলা শোনা উচিত।
ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করে ঘৃণিত এক কাজ করলো আজকে অন্তর্বর্তী সরকার ।
দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিদ্যাপিঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়( বুয়েট) এর শিক্ষার্থীদের উপর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এর সামনে ইউনূসের নির্দেশে পুলিশের বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটলো।
এই ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে দেশ। সমস্যা সমাধান লাঠিতে নয় টেবিলের আলোচনায় হওয়া উচিত।
যে পুলিশ জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্বে, তারাই আজ নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক আক্রমণ চালিয়েছে যা একটি সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি যুক্তিযুক্ত হোক কিংবা অযৌক্তিক—কোনো অবস্থাতেই পুলিশের দায়িত্ব হামলা করা নয়।
পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে যমুনা অভিমুখে যাত্রায় বাধা দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপের ঘটনার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ আরও পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ তাদের নতুন পাঁচ দাবি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। তাকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করলাম। সেইসঙ্গে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়, পুলিশের হামলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।
পাঁচ দাবি-
১। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য আন্দোলনকারীদের সামনে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে।
২। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইতোপূর্বে গঠিত কমিটিকে অনুপযুক্ততার কারণে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিসহ প্রকৌশল আন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কমিটির সংস্কার করে পেশকৃত তিন দফা দাবিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং এই মর্মে সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান এবং সৈয়দা রেজওয়ানা হাসানকে আজকেই এসে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
৩। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ডিসি মাসুদকে বহিষ্কার করতে হবে।
৪। হামলায় আহত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং আন্দোলন চলাকালীন সকল শিক্ষার্থীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না।
৫। রোকন ভাইয়ের উপর হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।