ঢাকা: এরা ক্ষমতা চায়, কিন্তু দেশকে কীভাবে উন্নত করা যায়, মৌলবাদমুক্ত করে স্বচ্ছ করা যায় সে চিন্তা করে না।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামাতের পা চাটা একটি দল বিএনপি ক্ষমতা, চেয়ারের স্বপ্নে বিভোর।
একটি রাজনৈতিক দল পিআর নিয়ে মামার বাড়ি আবদার শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভীর কথাবার্তা এমন যেন তারা দেশকে গড়েছে, স্বাধীন করেছে। স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে ধানমণ্ডি ৩২ দখল করে এরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মী সভায় রিজভী কথাগুলো বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এস আলম শেখ হাসিনাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আরও দুই হাজার কোটি টাকা দিতে চেয়েছে। এই অর্থ দিয়ে দেশে নাশকতা সৃষ্টি করা হবে। এছাড়াও মক্কা-মদিনায় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় খুলেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা আবার তার মনিবের সিংহাসন ফেরত পেতে চায়, শেখ হাসিনা আবার তার দুর্বৃত্তের শাসন ফেরত পেতে চান। শেখ হাসিনা এদেশের জমিদার ছিলেন। তিনি কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার ছিলেন না। তার জমিদারি হাত ছাড়া হয়েছে। তিনি এখন মরিয়া হয়ে গেছেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘১৬ বছরে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে, ছাত্রনেতা নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে, যুব নেতা নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। গুম, গুপ্তহত্যা, ইছামতী নদী, মধুমতী নদী, শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে অনেক নেতার লাশ পাওয়া গেছে। সেখানে আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যানের লাশও পাওয়া গেছে।
এই যে একটি ভয়ংকর ফ্যাসিবাদী শাসন মোকাবেলা করে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের যে মাঠ তৈরি করল দেশনেত্রী বেগম জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এগুলো কি সব বৃথা গেছে। এগুলো কি মিথ্যা হয়ে গেছে।’
রিজভী বলেন, ‘১৩০ জন শিশু জীবন দিয়েছে। এই শিশুগুলো কোন পরিবারের। আহাদ নামে চার বছরের একটা শিশু প্রাণ দিয়েছেন। ৪-১১ বছর বয়সের ছেলে, এরা তো শিশু। ১৩০ জন মারা গেছে। ছাত্র-জনতা তো মারা গেছেই। এ আন্দোলন যারা প্রাণ দিয়েছেন, অধিকাংশই তো বিএনপি পরিবারের।’