ঢাকা: আমেরিকা ভেবেছিল, ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে চাপে ফেলবে। কিন্তু আমেরিকাকে পাত্তা দেয়নি ভারত। চীন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। এদিকে এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।

এদিকে বাংলাদেশের বহু রাজনীতিকরা চীন সফরে যাচ্ছেন। এমনকি তারা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান চীন সফরে গিয়েছিলেন। তার সফরটি দীর্ঘ। তবে কি বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে?

আসলে চীন ও ভারতকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিকে এগোচ্ছে, সেটা নিয়ে বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন, রাশিয়া এবং ভারত এই তিনটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের যদি জোট দেখা যায়, তবে বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি অবস্থান স্পষ্ট করে ফেলে, তাহলে যার পক্ষে ঘোষণা যাবে, তারা লাভবান হবে এবং যার বিপক্ষে যাবে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

পরিস্থিতি সাপেক্ষে বলা হচ্ছে, যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, তাহলে সেটা মোকাবিলা করা অত্যন্ত কঠিন হবে ইউনূস সরকারের পক্ষে।

এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখন টলমল অবস্থা।

এদিকে, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও কার্যকর করতে একমত হয়েছে চীন ও জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঢাকায় চীনা দূতাবাসে আয়োজিত এক বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং ডব্লিউএফপির উপ নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কার্ল স্কাউ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

চীনা দূতাবাসের সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি বার্তায় জানানো হয়, বৈঠকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার এবং উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় (বাংলাদেশ-চীন-WFP) সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *