ঢাকা: ইউনূস সব বন্ধ করবেন! সব বন্ধ করে দেশ লুটেপুটে লাটে উঠিয়ে পালাবেন। তিনি মনে করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের মতো সুদে দেশ‌ চালাবেন। তবে ছাগল দিয়ে যদি হাল বাওয়ানো যেতো তাহলে আর কেউ গরু কিনতো না!

৫ আগস্টের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশকে নজরে রাখছে এবং এই দেশের সাথে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে।

একবছরে বহু পরিকল্পনায় ভারত সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ জঙ্গী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং অহং দেখিয়ে চলেছে।

এদিকে ভারত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছিলো বাংলাকে। সতর্ক হয়নি দেশ। শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে ভারতের ক্ষতি হয়নি, ক্ষতি হয়েছে এই দেশের।

আওয়ামী লীগের আমলে সবসময় শোনা যেতে শেখ হাসিনা ভারতকে অনৈতিক সুবিধা দিচ্ছেন, এমনকি দেশ বিক্রি করে দিয়েছেন,দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করেছেন।

অথচ বিগত নয়মাসে এর প্রমাণ দিতে পারেনি বর্তমান ইউনুস সরকার। উল্টো ভারতের স্থলবন্দর বন্ধ করায় বাংলাদেশের রপ্তানি হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।

স্থলবন্দরের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার যেমন ঘটে তেমনি স্থানীয় মানুষের অর্থনৈতিক ও জীবনমানে উন্নয়ন ঘটে। কিন্তু এই চারটি স্থলবন্দরের একটিতে কিছুটা কার্যক্রম থাকলেও বাকিগুলো কার্যত আলোর মুখই দেখেনি।

ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই ঝরে গেল।

তিনটি স্থলবন্দর (India-Bangladesh Land Ports) সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ। যার মধ্যে দুটি পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত ঘেঁষা।

তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি একটি বন্দরের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখতে চাইছে ঢাকা।

বন্ধ হতে যাওয়া বন্দরগুলিকে নিষ্ক্রিয় বলে দাবি করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ এবং একটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আলম জানান, রংপুরের নীলফামারিতে চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হবিবগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম এই মুহূর্তে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তিন বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতের কিছুই যাবে আসবে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *