চট্টগ্রাম: জানা যাচ্ছে গ্রামবাসী নয়, একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের ক্যাডাররা সংগঠিত হয়ে ছাত্রদের উপর হামলা করেছে।

এছাড়াও আরো কিছু তথ্য এরকম পাওয়া যাচ্ছে, আর্মি-ছাত্র-গ্রামবাসী একটা ত্রিমুখী সংঘর্ষ তৈরীর চেষ্টা হচ্ছে।

গ্রামবাসী বা ক্যাডারদের রামদার বিপরীতে, ছাত্রদের হাতেও রামদা দেওয়া হচ্ছে কোন কোন গুপ্ত পক্ষ থেকে। বেশ এলার্মিং। ১৪৪ ধারা জারির পরও, এই ঘটনা কোনদিকে নেওয়া হবে বলা শক্ত।

পরিস্থিতি ঘোলাটে।

কোন সাধারণ মানুষ এইভাবে শিক্ষার্থীদের আঘাত করতে পারে না। দেখা যাচ্ছে, রামদা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কচুকাটার মতো করে কাটা হচ্ছে, হামলা চালানো হচ্ছে। পাক্কা ট্রেনিংপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী এরা।

যেখানে টার্গেট শিক্ষার্থী সেখানে বুঝতে বাকি নেই এইগুলো কাদের কাজ। আর এই ছাত্রদের এত ঘটনার পরও ব্রেন ওয়াশ করা যায়। এরা কী শিক্ষার্থী?

প্রশাসন কর্তৃক এখন ১৪৪ ধারা জারি করছে এটাও একটা ফাজলামি।

নো মোর মিলিটারি, ব্যারাকে ফিরে যাও তাড়াতাড়ি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রক্তাক্ত হয়েছে,৩০০+ শিক্ষার্থীকে মারা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ঘোষণা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে সেনাবাহিনী।

এর আগে গণ অধিকার পরিষদ মব সৃষ্টি করে জাতীয় পার্টির উপর হামলা চালায়, পরবর্তীতে যৌথ বাহিনী মার শুরু করলে ভিপি নুর সহ বেশ কয়েকজন নেতা আহত হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীকে যা ইচ্ছা তা বলেছে। কেউ ওয়াকারকে মাফ চাওয়ার হুমকি,আবার কেউ ক্যান্টনম্যান্ট ভেঙে দেওয়ার হুমকি, টাকলা ফুয়াদ তো বলেই দিয়েছে এই আর্মিকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেন।

এই জঙ্গীরা রাজনৈতিক স্বার্থে আর্মিকে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করে, সেই কারণে আর্মির বর্তমানে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আর সেনাও জঙ্গীদের ঢাল হয়েছে, এটাও দেখেছে সারা দেশ‌।

শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও আশপাশের এলাকায় আগামীকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারার এই আদেশ জারি করা হয়।একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

আদেশে বলা হয়, ‘আজ চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে পূর্বদিকে রেলগেইট পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১ টায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরস্পর মুখোমুখী ও আক্রমণাত্মক হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং বর্তমানে পক্ষসমূহ আক্রমণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *