ঢাকা: কাদের জন্য বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন করলেন মুক্তিযোদ্ধারা? রাজাকার ইউনূস বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলার যত কায়দা, অপচেষ্টা আছে সব করছেন এই ইউনূস।
এই কাপুরুষ রাজাকার প্রজন্ম ’৭১-এর হায়েনাদের মতোই আবার মাথা তুলেছে ইউনূসের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে।
জামাত–শিবিরের নষ্ট বীজ ও স্বাধীনতা বিরোধী কুলাঙ্গাররা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা চালাচ্ছে। আর ইউনূসের প্রশাসন তাঁদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
হায়েনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সীমাহীনভাবে অপমান, অপদস্ত ও রক্তাক্ত করছে।
সময় এসেছে বাংলার মাটিকে শুদ্ধ করার—রাজাকারদের গর্তে ঢুকিয়ে তাদের ইতিহাসের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে না ফেললে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিরাপদ নয়।
কাদের সিদ্দিকী কী বললেন?
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘ড. ইউনূস, আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয়ে থাকেন তাহলে যখন বলা হয়েছে লতিফ সিদ্দিকীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, তখনই ড. ইউনূস আপনার দুই গালেও জুতা মারা হয়েছে।
আর যদি মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে থাকতেন তাহলে এ রকম হওয়ার কথা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ করে যদি পাকিস্তানের কাছে অত্যাচারিত হতে হয় তাও শান্তি। কিন্তু বাংলাদেশে পাকিস্তানি মনোভাব নিয়ে পোলাপান জন্ম নিল কীভাবে।’
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ওয়াকার সাহেবকে আমি ভালোভাবে চিনি না। তবে আগে তাঁর গ্রামে অনেক সময় কাটিয়েছি।
সেনাবাহিনী অনেক গর্বের, অন্য দেশে সেনাবাহিনী পরে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেনাবাহিনী আগে হয়েছে। হাসিনা হটাও আন্দোলনে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে, তা জনগণ হাজার বছর মনে রাখবে।
কেউ কেউ বলছে সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট পুড়িয়ে দেবে, তাদের দেখে নিন আপনি। গত ৫ আগস্ট আপনি বলেছিলেন আপনার ওপর ভরসা করতে, দেশ হেফাজত করবেন? কিন্তু আজ কোথায় হেফাজত?
মঞ্চ-৭১-এর অনুষ্ঠানে যারা গেছে তারা অপরাধী নাকি যারা ভাঙতে গেছে তারা অপরাধী? আপনি দেখেন না কে অপরাধী? ২৬ বছর যাবত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদকও জেলে গেছে।
আর কোটা আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনার বিদায় হয়নি, আল্লাহর গজবের কারণে হাসিনার বিদায় হয়েছে। ১৯৭১ সালে যেমন সবাই একত্র হয়েছিলাম ঠিক তেমনভাবে ২৬ সালেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’