রংপুর: জুলাইর জঙ্গী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিগত এক বছরে শত শত ছেলে মেয়ের জীবন নষ্ট হয়েছে, তারা পড়াশোনা ছেড়ে পথে নামতে বাধ্য হয়েছে। এই অবৈধ দখলদার ইউনূস বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন।

যেখানে স্কুলে থাকার কথা ছিল, সেখানে ফুটপাতে জুতা সেলাই করছে ১৪ বছরের জয়—এটাই অবৈধ ইউনুস সরকারের মব–রাজ্যের নির্মম চিত্র! বলা যায় ইউনূস ম্যাজিক, ইউনূসের সংস্কার।

রংপুরের তারাগঞ্জের ফুটপাতে জুতা সেলাই করছে ১৪ বছরের জয় রবিদাস। যে ছেলেটি নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল, যার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার—আজ সে বাবার মৃত্যুর পর সংসারের ভার কাঁধে নিয়ে বসেছে রাস্তায়।

এটাই আজকের বাংলাদেশ!

তার বাবা রূপলাল রবিদাসকে গত ৯ আগস্ট মব সন্ত্রাসে নির্দোষ মানুষ হয়েও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাণভিক্ষা চেয়েও ভিক্ষা পাননি।

জয় জানায়, ‘সকাল ১০টায় দোকান খুলে বিকেল চারটা পর্যন্ত কাজ করেছি। আয় হয়েছে ২৮০ টাকা। জুতা সেলাই ও রং করতে পারি, তবে জুতা বানাতে জানি না। শিখে নেব ধীরে ধীরে। সংসার চালাতে এখন প্রতিদিনই কাজ করতে হবে’।

একে যদি নিয়তি বলেন, তাহলে ভুল বলছেন। এটাকে নিয়তি বলে না। আজ বাংলাদেশের অবস্থা এটা। করেছেন ইউনূস।

অবৈধ ইউনুস সরকারের শাসনে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে, দেশে মব–রাজ চলছে। আর সেই মব–রাজনীতির শিকার হয়ে আজ স্কুলছাত্র জয়কে বই–খাতা ছেড়ে রক্ত–ঘামে ভরা চৌকিতে বসতে হয়েছে।

রূপলালের স্ত্রী মালতি রানীর বুকফাটা আর্তনাদ—“সংসারে আর কোনো পুরুষ নেই, জয়-ই এখন ভরসা। স্কুলে পাঠাতে না পেরে বুক ফেটে যাচ্ছে।”

অবৈধ ইউনুস সরকারের প্রশ্রয়ে আইনহীনতার জোয়ার বইছে। মব গড়ে উঠছে মুহূর্তে, আর সেই মব–রাজনীতির নামে খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। রাষ্ট্র নির্বিকার! বিচার অদৃশ্য!

রূপলাল রবিদাস ও প্রদীপ দাসের মৃত্যু শুধু দুটি প্রাণের নিভে যাওয়া নয়—এটা বাংলাদেশের বিবেকের মৃত্যু। আর সেই লাশের ওপর দাঁড়িয়ে আজ ইউনুস সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *