ঢাকা: এই সময়ে বাংলাদেশে সব থেকে বার্নিং ইস্যু ‘ভোট’। ভোট ক্ষমতা পরিবর্তনের একটা মাধ্যম বলেই এর এতো গুরুত্ব। বিএনপি ভোট চাইছে এই মুহূর্তে। বিএনপি নেতারা ধরেই নিয়েছেন ভোট হলেই ক্ষমতা হাতে পেয়ে যাবেন। ভোট নাকি ক্ষমতা চান এই নিয়ে ধন্দ এখন।
এবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানান কথা বলেন। কোনো প্রমাণ নেই যদিও আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪শ’ মানুষকে হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ক্ষমতায় থাকাকালে গণতন্ত্র এবং ভোটের অধিকারসহ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ধ্বংস করেছে। ঢাকার রাজপথে আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট স্বচ্ছ নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা। আমরা বলেছিলাম, নির্বাচনমুখী জরুরি সংস্কার করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
শনিবার, ১৭ মে খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি কথাগুলো বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে, কিন্তু মনে করবেন না, কেয়ামত পর্যন্ত আপনাদেরকে আমরা এই জায়গায় দেখতে চাইবো। আপনার সরকারকে লোকজন বলছে, এনসিপি মার্কা সরকার। আপনার সরকারে এনসিপির দুইজন প্রতিনিধি বিদ্যমান। তারা উপদেষ্টা এবং এনসিপি সংগঠন করে। আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চান, এনসিপি মার্কা দুইজনকে পদত্যাগ করতে বলুন। পদত্যাগ না করলে আপনি বিদায় করুন।
তিনি বলেন, আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। আপনার কি সেই জ্ঞান নেই, একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী কীভাবে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রদান করবে। তিনি রোহিঙ্গা, মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বিদায় করুন।