ঢাকা: দেশের মানুষ একটু শান্তিতে বসবাস চায়। কিন্তু বিগত একবছর ধরে কী সেটা হতে দেয়া হচ্ছে? ইউনূস গদিতে বসার পর থেকে দেশের পরিস্থিতি একদম ওলোট পালোট।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, কিন্তু নির্বাচন আদৌ হবে কিনা সন্দেহ সংশয় থেকেই যায়। দেশে প্রতিদিন সংঘাত, রক্তপাত বাড়ছে। এই অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না। ইউনূস হঠাও, দেশ বাঁচাও স্লোগান উঠছে।

এ দেশের মানুষ আজ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এটি স্পষ্ট ইউনুস গং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আখেরি লুটপাটে ব্যস্ত। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষাঙ্গন, সামাজিক স্থিতিশীলতা সবকিছু ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে এই অবৈধ সরকার।

এদিকে, মিথ্যাবাদী প্রেস সচিব তো বুলি আওড়ে যান বারবার।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন, নির্বাচন সেই সময়ের মধ্যেই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রবিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি নির্বাচনের কোনো বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে এ জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক।’

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকল রাজনৈতিক দলকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে আবারও তার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা জানেন, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা ঘিরে দেশে যেন কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে সজাগ থাকার এবং সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘আজ তিন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় বিশেষ সহকারী মুনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *