ঢাকা: চবিতে সংঘর্ষ – রাবিতে এবং বাকৃবিতে বিক্ষোভ।
আজকে ডাকসু স্থগিতের হাইকোর্টের রায় নিয়ে ঢাবিকেও অস্থিতিশীল করে দেয়া হলো।
দেশটাকে কি মগের মুল্লুক মনে করছেন এরা? আইন আদালত হাতের মুঠোয় নেয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ডাকসু নির্বাচন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে।
উচ্চ আদালতের আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেছেন প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।
হাই কোর্টের আদেশের খবর পৌঁছানোর পর সোমবার বিকালে তাৎক্ষণিকভাবে এই বিক্ষোভ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে আসেন তারা। সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ আরও কয়েকটি ছাত্র সংগঠন প্রায় একই সময় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপাচার্য ভবনের দিকে রওনা হন।
এর আগে ডাকসু ভবনের সামনে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির মনোনীত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহার বলেন, “ডাকসু নির্বাচন যথা সময়েই হবে। আমরা জানি, কারা নির্বাচনকে ভয় পায়। ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের লাল কার্ড দেখাবে।”
ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, “ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বরই হবে এবং যারা নির্বাচন বন্ধ করতে চায়, শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।”
বিক্ষোভ থেকে ‘হাই কোর্ট না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘প্রহসনের হাই কোর্ট, মানি না মানব না’, ‘ডাকসু আমার অধিকার, এই অধিকার দিতে হবে’, ‘ডাকসু নিয়ে ষড়যন্ত্র, মানি না মানব না’, ‘ডাকসু আমার অধিকার, রুখে দেয় সাধ্য কার’ প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
শিবির যে দেশ, আর আইন হাতের মুঠোয় নিয়েছে তার প্রমাণ এটি।
আগামি ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।
আজ সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের এক আদেশে এই কথা জানানো হয়।
এর আগে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন। এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সেই আদেশ স্থগিত করেন।